কলকাতা: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো ঘিরে বেনজির সংঘাত বাধল। পুজো বন্ধে পুলিশি চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন, বিজেপি নেতা ও পুজোর উদ্য়োক্তা সজল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, পুজোর যে থিম, অপারেশন সিঁদুর, তা নিয়ে শো চালাতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ।

Continues below advertisement

যদিও বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের অভিযোগ মানতে চাননি কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, 'সবাই যাতে নিয়ম মেনে চলেন সেটা দেখা হচ্ছে। জনগণের সুরক্ষার জন্য কোনও কিছুর সঙ্গে আপস নয়। ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট শুধু প্যান্ডেলভিত্তিক হয় না। কীভাবে প্যান্ডেলের প্রবেশ ও প্রস্থান হবে সব ক্লাবই জানে সেটা।  একটা বিষয় সবাইকে বুঝতে হবে, যখন প্রচুর মানুষের ভিড় হচ্ছে। কোথাও যদি মানুষ ২-৩ মিনিট দাঁড়িয়ে যায় তখন একটা রিফেল এফেক্ট তৈরি হচ্ছে। হাইকোর্টেরও নিয়ম আছে, সেই মতোই ফলো করা হচ্ছে।'  

পুলিশ কমিশনার এও বলেন, 'আমরা যতটুকু জানি, পাবলিক ভালভাবে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছে, দেখছে। আমাদের শুধু একটাই চিন্তা থাকে, সেটাই সবথেকে জরুরি, পাবলিকের সেফটি। তার জন্য যা যা করতে হবে, পুলিশ করছে।' 

Continues below advertisement

যদিও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের উদ্যোক্তা এবং বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, 'যাতে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায় এবং তারপর পুজো কমিটিকে কালিমালিপ্ত করা যায় বা দোষী সাব্যস্ত করা যায়, তার জন্য পরিকল্পনা, ছক পুরো কষে রেখেছে। আমি সোশাল মাধ্য়মে বলেছিলাম, পরিকল্পনা তারা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। ধাপে ধাপে বিভিন্ন পর্যায়ে, আমাদের থিম যেহেতু অপারেশন সিঁদুর, অপারেশন সিঁদুর অনেকের সহ্য হয়নি। আমরা অসহযোগিতা নয়, চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছি।' 

সজল ঘোষ এও বলেন, 'সরকার যে চক্রান্ত করেছে, ৪০ ফুটের রাস্তাকে গার্ডরেল দিয়ে বন্ধ করে, ১৫ ফুটের রাস্তা দিয়ে মানুষকে গরু, গাধার মতো, যেখানে ৭০০ মিটার হাঁটলে মাঠে পৌঁছে যাওয়া যায়, সেখানে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার বিভিন্ন রাস্তা ঘুরিয়ে ১৫ ফুট ব্যারিকেডের মধ্যে দিয়ে মানুষকে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ যে, সিভিক ভলান্টিয়ার তারা প্রতি বছর নেয়, স্থানীয় অঞ্চলে যত সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল, সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের তারা আজকে বসিয়ে দিয়েছে।'  

এর আগে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্য়োক্তাদের চারটি চিঠি পাঠায় কলকাতা পুলিশ। যা নিয়ে চাপানউতোর চলছিলই। এবার সজল ঘোষের অভিযোগ এবং হুঁশিয়ারি ঘিরে পঞ্চমীতে রাজনীতির পারদ সপ্তমে।