মনোজ বন্দ্য়োপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: ৫১ ফুটের সরস্বতী প্রতিমা এবার দুর্গাপুরে (Saraswati Puja 2024)। দুর্গাপুরের ইস্পাতনগরীর বি জোনে ইস্পাত পল্লী নেতাজী ক্লাবের তরফে এবারে ১৭ তম বর্ষের সরস্বতী পুজোয় ৫১ ফুটের সরস্বতীর প্রতিমা ( Saraswati Idol ) করে তাক লাগাল।  


ক্লাব উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রতিবছরের মতন এই বছরও সরস্বতী পুজোয় বিশেষ আকর্ষণ সরস্বতী প্রতিমা, সেই কথা মাথায় রেখে এবার ও ৫১ ফুটের সরস্বতী প্রতিমা করা হচ্ছে। যা জেলায় প্রথম বার বলে দাবি করে  উদ্যোক্তারা। সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা। ৬ লক্ষ টাকা বাজেটের এই বারের পুজো। গত এক মাস ধরে তৈরি হচ্ছে এই প্রতিমা, খড়, মাটি, থার্মোকল অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুরো প্রতিমা, প্রতিবছর নতুন নতুন চমক নিয়ে আসে এই সরস্বতী পুজো কমিটি।এখন দেখার এই ৫১ ফুটের সরস্বতী প্রতিমা কতটা নজর কাড়ে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল শহরবাসীর।


আজকের দিনে একদিকে বাগদেবীর আরাধনা। অন্যদিকে ভালোবাসার উদযাপন। মূলত ফেব্রুয়ারীর মধ্যাংশ পর্যন্ত সময়কে ভালোবাসার মরশুম রূপেই উদযাপন করা হয়। খানিকটা কাকতালীয় ভাবেই এবারের ১৪ ফেব্রুয়ারী আরও বেশী তাৎপর্যপূর্ণ । দেবী সরস্বতীর বন্দনাকে কেন্দ্র করে আজ শহরের চিত্রটা অনেকাংশেই ভিন্ন। অন্যান্য বছরের তুলনায়, আজ শহরে সরস্বতী পুজায় অল্পবয়সীদের উপচে পড়া ভীড়কে কার্যত সাহস জোগাল ভ্যালেন্টাইনের বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা।


একদিন বাদেই যে উচ্চ মাধমিক ও স্নাতক স্তরের পরীক্ষা বোঝাই গেলনা  নাবালিকা থেকে সাবালকদের ভীড়ে,কেউ সুসজ্জিত মন্ডপে এসে সেলফি তুললেন, কেউ বা গোলাপ উপহার দিলেন, তবে পেন থেকে ক্যাডবেরির ব্যবসা ভালোই হল, মন্ডপে মন্ডপে বর্ষ প্রথমের সরস্বতী পুজার ভীড় মিশে একাকার হয়ে গেল রোমিও জুলিয়েটদের ভীড়ে, এরই সঙ্গে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে খিচুড়ি খাওয়ার লাইনও চোখে পড়ে গেল।


আরও পড়ুন, দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য মেনেই হাওড়ার রাজবাড়িতে সরস্বতী পুজো, রাত পেরোলেই সিঁদুর খেলা..


অপরদিকে, এদিন চিরাচরিত রীতিনীতি মেনে বসন্ত পঞ্চমীর পূণ্য তিথিতে বেলুড় মঠের বাগদেবীর আরাধনা (Saraswati Puja 2024 in Belur)। মূল মন্দিরের পূর্ব দিকে দেবী সরস্বতীর পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারী মহারাজরা বেলুড় মঠের নিয়ম মেনেই সরস্বতী পুজোর শুরু করেছেন।সকাল থেকেই সরস্বতী পুজোর বিশেষ দিনে বেলুড়মঠে ভক্তদের সমাগম। ছোট ছোট শিশুদের সঙ্গে করে নিয়ে তাদের পরিবারের লোকজন হাতেখড়ি দিতেও নিয়ে এসেছেন।