প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: সরস্বতী পুজোর বিসর্জনে সংঘর্ষে জড়াল কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির দুটি ক্লাব। মাথা ফাটল ২ জনের। সংঘর্ষে আহত হন ৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দেরিতে আসার অভিযোগে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান দাসপাড়া বারোয়ারির সদস্যরা। ধাক্কাধাক্কিও হয়। 


সরস্বতী পুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কৃষ্ণনগর। ২ টি ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে মাথা ফাটল ২ জনের। আহত হলেন ৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গন্ডগোলের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। সবস্বতী প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ২ টি ক্লাবই। অভিযোগ, তখনই দাসপাড়া বারোয়ারি ক্লাবের সদস্যদের উপর চড়াও হয় তুফান সঙ্ঘের সদস্যরা। বেধড়ক মারধর করা হয় ক্লাব সদস্য়দের। দাসপাড়া বারোয়ারি ক্লাবের সদস্য অনুভব দাস বলেন, "ওরা ঠাকুর নিয়ে যাচ্ছিল আর আমাদের ঠাকুরটা সেই সময় বাঁধা হচ্ছিল। আমাদের পাড়ার সামনে রেখে বাঁধা হচ্ছিল, ওরা পিছন থেকে এসে আমাদের পাড়াতে ঢুকে ভয়ঙ্করভাবে মেরে একদম অমানবিকভাবে, যেটাকে অমানবিক বলে, সবাইকে মেরে লাশের মতো করে ফেলে রেখে দিয়েছে।''

কৃষ্ণনগর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শুক্লা বিশ্বাসের স্বামী নীতুরঞ্জন বিশ্বাসের নেতৃত্বেই এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন দাসপাড়া ক্লাবের সদস্যরা। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, "মিথ্যে অভিযোগ। এরকম কোনও ঘটনা নেই। কারণ গতকাল আমি সারাদিন বাড়িতেই ছিলাম। আমাদের ছেলেপিলেরা প্রত্যেকবার ওখান দিয়ে যায়, প্রত্যেকবার দাসপাড়ার ছেলেপিলেরা মারধর করে। ওদের ঠাকুরটা অনেকক্ষণ রাস্তার ওপর রেখে দিয়ে, যখন আমাদের ঠাকুরটা যাচ্ছে অ্যাটাক করল আমাদের। আমি সম্পূর্ণ দেখছি চোখের সামনে।''

এদিকে পুলিশ অনেক পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলে অভিযোগ করেছেন দাসপাড়া ক্লাবের সদস্যরা। পুলিশ পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।


এদিকে কলকাতায় সরস্বতী পুজোর বিসর্জন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। গার্ডেনরিচে মার খেল পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার। গার্ডেনরিচের পাহাড়পুর রোডের বাঁধাবটতলা এলাকায় শোভাযাত্রা যাওয়ার সময় গন্ডগোল বাধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে গার্ডেনরিচ থানার সাব ইনস্পেক্টর অরুণ মাইতি ও মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত SI ও সিভিককে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার শিবনগর ইয়ং স্টার ক্লাবের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ। পুলিশকে মারধর, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা-সহ একাধিক ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।  

আরও পড়ুন: Rail Blockade: সাবওয়ে ও টিকিট কাউন্টারের দাবি, দমদম ক্যান্টনমেন্টে রেল অবরোধ