কলকাতা : কলকাতা পুরভোটের ফল (KMC Election 2021) ঘোষণার পরদিনই, রাজ্য বিজেপিতে বিরাট  রদবদল !! সাধারণ সম্পাদকের তালিকা থেকে বাদ যান সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। এই বদলের অভিঘাত কী, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। এরই মধ্যে জল্পনা বাড়াল একটি ঘটনা। বিজেপির মিডিয়া সেলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন বিজেপি নেতা।



রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ার পরেই সায়ন্তন বসুর বাড়িতে হাজির হল তৃণমূল নেতৃত্ব। পুরভোটের ফল বেরনোর পরেই গতকাল বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি গঠিত হয়। নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়েন সায়ন্তন বসু। এরপর রাতে তাঁর বাড়িতে যান তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী। এই নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। যদিও সায়ন্তনের দাবি, সমীর চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। মাঝেমধ্যেই তিনি বিজেপি নেতার বাড়িতে আসেন। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 

এছাড়াও , যা রদবদল হল বিজেপিতে তা হল - 



  • যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে সরানো হল সৌমিত্র খাঁ-কে।

  • মহিলা মোর্চার সভাপতি পদেও অগ্নিমিত্রা পালের জায়গায় আনা হল নতুন মুখ।

  • সাধারণ সম্পাদকের তালিকা থেকে বাদ গেলেন সায়ন্তন বসু।

  • সহ সভাপতির তালিকা থেকে বাদ পড়লেন বিজেপির পুরনো মুখ প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার।

  • সহ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে মুখপাত্র করা হয়েছে।

  • বিজেপির মুখপাত্রর তালিকায় জায়গা পেয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

  • এবছর এরাজ্যের একের পর এক নির্বাচনে, বিজেপি কার্যত কোনও দাগই কাটতে পারেনি।

  • বিধানসভা নির্বাচনে দু’শো আসনের টার্গেট নিয়ে লড়াইয়ে নেমে, সাতাত্তরটি আসন আসনে জেতে বিজেপি।

  • তারপর ভবানীপুর-সহ সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে একটিতেও জিততে পারেনি তারা।

  • আর কলকাতা পুরভোটে বিজেপির ফল ২০১৫-র থেকেও খারাপ হয়েছে।

  • এই প্রেক্ষাপটে এবার রাজ্য বিজেপিতে বড়সড় পরিবর্তন করা হল।

    বদলানো হল সবক’টি মোর্চার মুখ। 

  • রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে সরানো হল সৌমিত্র খাঁ-কে।

  • তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে ইন্দ্রনীল খাঁকে।

  • যিনি বিধানসভা ভোটে কসবা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, জিততে পারেননি।

  • সৌমিত্র খাঁ-কে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি করা হয়েছে।

  • মহিলা মোর্চার সভাপতি পদে অগ্নিমিত্রা পালের জায়গায় আনা হল তনুজা চক্রবর্তীকে।

  • অগ্নিমিত্রা পালকে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

  • সাংসদ খগেন মুর্মুর জায়গায় উপজাতি মোর্চার প্রধান করা হয়েছে বিধায়ক জোয়েল মুর্মুকে। 


 


সম্প্রতি হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের দূরত্ব নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এই আবহে লকেট আগের মতোই রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রয়ে গেলেন। তবে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হয়েছে রাজ্য বিজেপির পরিচিত এবং পুরনো মুখ সায়ন্তন বসুকে। ঘুরে দাঁড়াতে বিজেপির নতুন টিম কী কৌশল নিয়ে সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।