উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে এসএফআইয়ের (SFI) ডেপুটেশন (Deputation) ঘিরে তুলকালাম। করুণাময়ী মোড়ের কাছে পুলিশের বাধা, ধস্তাধস্তি। এর প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান এসএফআই সমর্থকরা। শিক্ষামন্ত্রীর (Education Minister) কাছে ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার আগেই ধুন্ধুমার বাধে। বিক্ষোভকারীদের আটক করেছে পুলিশ।
অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী, বিশেষ করে গ্রামের পড়ুয়ারা পঠন-পাঠন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এই দাবিতেই শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল এসএফআইয়ের। কিন্তু আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মাঝ পথে তাঁদের পুলিশ আটকে দেয়। শেষ পর্যন্ত তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে পারেননি।
এদিকে অবিলম্বে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে আজ শিলিগুড়িতেও চলে বিক্ষোভ। বাঘাযতীন পার্কের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির তিন বিধায়ক।
রাজ্যের বিভিন্ন মহলে স্কুল-কলেজ খোলার পক্ষে দাবি জোরাল হয়েছে। বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি শিক্ষা মহলের একাংশও স্কুল-কলেজ খোলার পক্ষে সওয়াল করেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ; সরকার স্কুল খোলার পক্ষে, সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
এই কর্মসূচির সূচনা করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, ‘রাজ্য সরকার স্কুল খোলারই পক্ষে। শিশুদের ক্ষতি না করে, সংক্রমণ না বাড়িয়ে স্কুল খোলার পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী’।
পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচির সূচনা করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা বা উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রী পর্যালোচনা করছেন। যাতে স্কুল খোলার পর আবার বন্ধ করে দিতে না হয়। সেই সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী ধাপে ধাপে স্কুল খোলারই পক্ষপাতী।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আরও (Bratya Basu) বলেন, "৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি। প্রায় ২ লক্ষ শিক্ষক শিক্ষিকাকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ১২ হাজার প্রধান শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।"