কলকাতা:  রাজ্যের বিভিন্ন মহলে স্কুল-কলেজ (School Reopen) খোলার পক্ষে দাবি জোরাল হয়েছে। বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি শিক্ষা মহলের একাংশও স্কুল-কলেজ খোলার পক্ষে সওয়াল করেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই কর্মসূচির সূচনা করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেছেন,   ‘রাজ্য সরকার স্কুল খোলারই পক্ষে।  শিশুদের ক্ষতি না করে, সংক্রমণ না বাড়িয়ে স্কুল খোলার পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  স্কুল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী’।


পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচির সূচনা করে  শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা বা উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রী পর্যালোচনা করছেন। যাতে স্কুল খোলার পর আবার বন্ধ করে দিতে না হয়। সেই সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী ধাপে ধাপে স্কুল খোলারই পক্ষপাতী।


করোনাকালে (Corona Pandemic) এবার পাড়ায় পাড়ায় স্কুল কচিকাঁচাদের। এবার প্রাথমিক স্তরে (Primary Education) নতুন প্রকল্প আনল রাজ্য (West Bengal Government)। নতুন এই প্রকল্পের নাম ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ (Paraye Sikhhaloy)। করোনাকালে প্রায় ২ বছর বন্ধ প্রাথমিকের পঠনপাঠন। ক্লাসরুমের (Class Room) বন্ধ গণ্ডিতে কচিকাঁচাদের ক্লাস নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসকরা (Doctors)। সেই কথা মাথায় রেখেই খোলা জায়গায় (Open Air Spaces) নেওয়া হবে পড়ুয়াদের ক্লাস। 


সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পে পড়ুয়াদের পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ক্লাস নেবেন স্কুলের শিক্ষক (Teachers), পার্শ্বশিক্ষক (Para Teachers), শিক্ষা সহায়করা। জানা যাচ্ছে, প্রায় ৮০ লক্ষ প্রাথমিক পড়ুয়ার জন্য এই প্রকল্প। করোনা আবহে যেহেতু প্রায় ২ বছর স্কুল বন্ধ, তাই ছোটদের বিকল্প ক্লাসের ভাবনা বলেই শিক্ষা দফতর (Education Department)।


করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ জায়গাতেই পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটেছে। পঠন-পাঠন আপাতত অনলাইনে (Online Classes) চললেও প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়ারা অনলাইনে পড়াশোনার সঙ্গে কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পারছে, সে নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। এই অবস্থাতেই প্রি-প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের পঠনপাঠনের রাস্তা খুলতেই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ। মূলত, ৪ থেকে ৯ বছর বয়সী পড়ুয়াদের শিক্ষাদানই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।


কচিকাঁচাদের অনলাইনে পড়াশোনার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে যেমন সমস্যা তেমনই প্রান্তিক পরিবারের অনেক পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাসের সুবিধা নেওয়াটা কিছুটা আর্থিকভাবেও সমস্যার। একদিকে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ, অন্যদিকে অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে  একাধিক সমস্যার কথা মাথায় রেখেই কচিকাঁচাদের যাতে পড়াশোনায় ফের গতি আনা যায়, সেই লক্ষ্যেই পাড়ায় শিক্ষালয়ের পদক্ষেপ।


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI