কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : স্কুল সার্ভিস কমিশনের উদ্দেশে ঠিক যে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা, বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিও দিলেন একই নির্দেশ। সুপ্রিম কোর্ট ফের একবার জানিয়ে দেয়, 'দাগি'দের যাবতীয় বিবরণ-সহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে SSC-কে। ঠিক এই নির্দেশই কয়েকদিন আগেই দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। আর তারপরই ২০১৬-র অযোগ্য শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকাপ্রকাশ করল SSC।
এবার নতুন করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার আগে সুপ্রিম কোর্ট SSC-কে বারবার সতর্ক করে, যেন একজন দাগিও নতুন পরীক্ষায় বসতে না পারে। কিন্তু তারপরও, তারপরও কমিশনের ইন্টারভিউয়ের তালিকায় 'দাগি'দের নাম থাকার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে মামলার জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। গত ১৯ নভেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি সিন্হা বলেন, আরও বিস্তারিত তথ্য দিয়ে 'দাগি'দের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দেয়, দাগিদের যাবতীয় বিবরণ-সহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে SSC-কে।
তার ঠিক একদিনের মাথাতেই ১ হাজার ৮০৬ জন অযোগ্য প্রার্থীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে দিল SSC। তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষকদের অভিভাবকদের নাম ও জন্মতারিখও। যদিও সেখানে উল্লেখ নেই তিনি কোন স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন কিংবা তিনি কোন ক্যাটেগরিতে পড়েন, যেমন জেলারেল, এসসি বা এসটি।
গত ১৯ নভেম্বর, দু-পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছিলেন, দাগিদের তালিকায় নাম থাকলে, তিনি নিয়োগে অংশ নিতে পারেন না। যদি কোনও দাগি প্রার্থী অংশ নিয়েও নেন, তাহলে তার নাম বাদ দিতে হবে। এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উদ্দেশ্য এটাই ছিল যে কোনও চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থী যেন নতুন নিয়োগে অংশ নিতে না পারে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ব্যাখ্যায় কমিশন মনে করেছিল যে বিশেষভাবে সক্ষম দাগিরাও এই নিয়োগে অংশ নিতে পারবে। ২০১৬ এবং ২০২৫-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একই ব্যক্তির রোল নম্বর ভিন্ন ভিন্ন হয়। শুধুমাত্র নাম প্রকাশ করলে, কোনও ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় না। একই নামের একাধিক ব্যক্তি হয়। সহজেই যাতে দাগিদের শনাক্ত করা যায়, সেই উদ্দেশ্যেই সুপ্রিম কোর্ট নাম প্রকাশ করতে বলেছিল। আরও বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দাগিদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বলেছিলেন বিচারপতি সিনহা। সেই কথামতো , বৃহস্পতিবারই সেই তালিকা সামনে আনল এসএসসি।