রাজীব চৌধুরী, হরিহরপাড়া (মুর্শিদাবাদ): পথ দুর্ঘটনায় (road accident)মর্মান্তিক মৃত্যু (death)স্কুলপড়ুয়ার (school student)। মুর্শিদাবাদের (mursidabad)হরিহরপাড়ার মহিষমারা এলাকায় শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে। আচমকা এই খবরে এলাকায় শোকের ছায়া। কার্যত বাকরুদ্ধ মৃত ছাত্রের পরিবার।
কী হয়েছে এদিন? মৃতের নাম সাহিন শেখ। বছর বারোর ওই কিশোর নওদার কেদারচাঁদপুর এলাকার বাসিন্দা। পড়ত হরিহরপাড়ার মহিষামারা ঘোড়ামারা হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে। প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও স্কুলের জন্য বেরিয়েছিল সাহিন। হঠাতই রাস্তায় একটি ট্রাক্টরের চাকার নিচে চলে আসে। সেখানেই পিষ্ট হয়ে মৃত্য়ু হয় তার। এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্রে করে এদিন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিহরপাড়া ও নওদা থানার পুলিশ। স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘাতক ট্র্যাক্টরটি আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু চালক এখনও ফেরার। এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরের মৃত্য়ুতে শোকের ছায়া কেদারচাঁদপুরে। কোথা থেকে কী হয়ে গেল এখনও বুঝে উঠতে পারছে না মৃতের পরিজনেরা। থমথমে পরিবেশ। চালকের খোঁজখবর করছে পুলিশ।
পুলিশকে লিখিত আর্জি স্কুলের মহিষমারা ঘোড়ামারা হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনিকুল আলম খান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে এবার প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাবেন তাঁরা। স্কুল শুরু ও ছুটির সময়টুকু যাতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকে সে জন্য পুলিশ প্রশাসনকে লিখিত আর্জি জানানো হবে। ওই সময়টুকু পণ্য়বাহী গাড়ি বা ট্রাক্টর যাতায়াতে যাতে লাগাম পরানো হয়, সেটাই মূল লক্ষ্য থাকবে তাঁদের। কিন্তু সদ্য সন্তানহারা পরিবারের এসবে সান্ত্বনা কোথায়? কান্নার রোল থামছে না সাহিন শেখের পরিজনদের।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়ায় এক পথ দুর্ঘটনায় কিশোর আহত হওয়ায় মাস তিনেক আগেই অবরুদ্ধ হয়েছিল ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি গাড়়ির ধাক্কায় এক কিশোরকে গুরুতর আহত হতে হয়। বয়স ১৩ বছর। তার দুর্ঘটনার পরই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রায় ২০ মিনিট জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মুর্শিদাবাদের ঘটনায় অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। প্রাণ চলে গেল আর এক কিশোরের।
আরও পড়ুন:গ্রহণ হল না অসুস্থতার আর্জি, ছত্রধর মাহাতোর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন খারিজ