কলকাতা: স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আদালতে ফের ধাক্কা খেলেন রাজ্যের একদা মন্ত্রীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। হাইকোর্টের চাকরি বাতিল রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অঙ্কিতা। অঙ্কিতার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়োগকে সন্দেহজনক বলে চিহ্নিত করেছে সর্বোচ্চ আদালত। 


২০১৮ সালে পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari) তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে সেই বছর ২৪ নভেম্বর তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী স্কুলে শিক্ষকতার সুযোগ পান। মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের স্কুলে ৪১ মাস চাকরি করেছিলেন তিনি। মন্ত্রী-কন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যোগ্যতম প্রার্থীর চেয়ে কম নম্বর পেয়েও শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। যে মামলার রায় দিতে গিয়ে অভিযোগের সত্যি হওয়ার প্রমাণ পেয়ে মন্ত্রীকন্যাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তাঁকে সমস্ত বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এই মামলায় CBI-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। CBI সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথিও সিবিআইয়ের কাছে জমা দেন পরেশ।                               


হাইকোর্টের রায়ের প্রায় আড়াই বছর পর চলতি মাসেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জোড়া নির্দেশকে চ্যালঞ্জ করে সম্প্রতি দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। শুনানি পর্বে এই নিয়োগকে সন্দেহজনক হলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২০২২ সালের ১৭ মে অঙ্কিতার চাকরি বাতিল। তাঁকে বেতনের টাকাও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। অঙ্কিতার চাকরি তো বটেই, বেতনের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পান ববিতা। কিন্তু ববিতার চাকরিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দেখা যায় ববিতার নম্বরে মূল্যায়নে ভুল রয়েছে। ববিতার চাকরিও চলে যায় শেষমেশ। এরপর ওই চাকরি পান আর এক চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়। সেখানেই বিতর্কের শেষ হয়নি। গত বছর ২২ এপ্রিল SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে হাইকোর্ট। তাতেই চাকরি হারান অনামিকা।                                


আরও পড়ুন: North 24 Parganas: ফোনে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ, আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী; গ্রেফতার অভিযুক্ত