অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে শিয়ালদা থেকে ধর্মতলার বি আর অম্বেদকরের মূর্তি পর্যন্ত ISF-এর মহামিছিল আজ। এদিকে এই মিছিলের অনুমতিই নেই বলে শুরুতে মিছিল আটকাল পুলিশ। যা নিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। নৌশাদ সিদ্দিকি অনুমতিপত্র আনলে তবে মিছিল এগোবে, সাফ জানাল পুলিশ। এরপরও শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে আইএসএফ সমর্থকদের জমায়েত ঘিরে বাধে ধুন্ধুমার। আইএসএফ সমর্থকদের জমায়েতে পুলিশের বাধায় তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এদিন শিয়ালদায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, এই মিছিল তাঁরা করবে। ইতিমধ্যেই শিয়ালদায় পৌঁছেছেন নৌশাদ সিদ্দিকি। সেখানে পৌঁছে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল ও জমায়েতের ডাক দেন।
নৌশাদ সিদ্দিকি এও বলেন যে, এই মিছিলে ভারতের জাতীয় পতাকা ছাড়া আর কোনও পতাকা থাকবে না। এমনকী আইএসএফ-এর দলীয় পতাকাও থাকবে না। এই ওয়াকফ বিল ইস্যু যেহেতু জাতীয় ইস্যু, তাই সেই বিরোধিতা করতে নেমে তারা জাতীয় পতাকা নিয়েই এই মিছিল করবেন। তবে এখনও অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে শিয়ালদা।
অন্যদিকে, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ভাঙড়ে বিক্ষোভ- প্রতিবাদ চলে। ভাঙড়ের বাসন্তী হাইওয়েতে বিক্ষোভকারীদের আটকায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটিও হয়। পুলিশ গাড়ি আটকানোয় তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের জেরে বাসন্তী হাইওয়েতে আটকে পড়েছে প্রচুর গাড়ি।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রামলীলা ময়দানে কর্মসূচি, সেখানে বক্তব্য রাখার কথা নৌশাদ সিদ্দিকির। তার আগে ভাঙড়ের বাসন্তী হাইওয়েতে ওয়াকফ-বিক্ষোভকারীদের গাড়ি আটকাল কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি, ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। একজনের মাথা ফাটে। কয়েকজন আহত হন। ওয়াকফ-বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বসে পড়ায় বাসন্তী হাইওয়েতে প্রচুর গাড়ি আটকে পড়েছে।
এদিকে, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের নামে তাণ্ডবের দায় কার? এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতির লড়াই।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সরকারকে নিশানা করতে শুরু করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব।পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে ভেদাভেদের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, এরইমধ্যে বুধবার ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সভায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইদিনটিই আবার হিন্দু শহিদ দিবস পালনের ডাক দিয়েছে বিজেপি।