পার্থপ্রতিম ঘোষ, হাওড়া: বিজেপির নবান্ন অভিযান (BJP Nabanna Abhijan) ঘিরে ফের উত্তপ্ত সাঁতরাগাছি (Santragachi)। স্টেশনের ঠিক পাশে ফের জমায়েত বিজেপি কর্মীরা (BJP Workders)। পুলিশকে (police) লক্ষ্য করে ইট (brick) ছোড়ার ছবি ধরা পড়ল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। হাতে লাঠি (stick) নিয়ে ঘুরতে দেখা গেল বেশ কয়েকজনকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উল্টো দিকের রাস্তা থেকে পাল্টা কাঁদানে গ্যাস (teag gas) ছুড়ল পুলিশও। সার্বিক ভাবে তীব্র উত্তেজনার ছবি সাঁতরাগাছি এলাকায়।
উত্তেজনা চলছেই...
এদিন নবান্ন অভিযানের শুরুতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। প্রথমে সাঁতরাগাছিতে পুলিশের গার্ড রেল টপকানোর চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। এর পর পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় কাচের বোতল,ইট,পাথর,বাঁশ। গার্ড রেল ভাঙার চেষ্টারও অভিযোগ রয়েছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয় পুলিশের কিয়স্ক। পাল্টা জল কামান ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। লাঠি উঁচিয়ে বিজেপি কর্মীদের তাড়া করে পুলিশ। রাস্তায় ফেলে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে,হাওড়া ময়দানের কাছে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা।
আভাস ছিল?
পদ্মশিবিরের নবান্ন অভিযান ঘিরে কিছু উত্তেজনা যে তৈরি হতে পারে তার আঁচ অনেকেই গত কাল টের পেয়েছিলেন । বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় আসতে চেয়ে তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা ট্রেনে উঠতে গেলে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। আরপিএফ থাকা সত্ত্বেও জেলা পুলিশ কী করে স্টেশন ও জংশনে গিয়ে এই ধরনের কাজকর্ম করছে, তা নিয়েও সরব হন রাজ্য বিজেপি নেতারা। পুলিশকে রেললাইনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পদ্ম সাংসদ খগেন মুর্মুর বিরুদ্ধে। তার পর আজ সকালে অভিযান ঘিরে দফায় দফায় কার্যত রণক্ষেত্রের ছবি তৈরি হয়। নবান্ন অভিযান বেরিয়ে আটক হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। আটক হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, দলের নেতা রাহুল সিনহাও। তাঁদের সকলকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন, তাই বিজেপি-কে আটকাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন লকেট। সব মিলিয়ে তীব্র উত্তেজনার পরিবেশ বৃষ্টিভেজা হাওড়া ও কলকাতায়।
আরও পড়ুন:নবান্ন অভিযানে যাওয়ার পথে আটক শুভেন্দু, তোলা হল প্রিজন ভ্যানে