কলকাতা: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছে ডাউন সেকন্দ্রাবাদ-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। হাওড়ার নলপুরে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনের একাধিক কামরা। ইঞ্জিন ও পার্সল ভ্যান এক লাইনে ঢুকলেও ট্রেনের বাকি ৪টি কামরা অন্য লাইনে ঢুকল কী করে? ওঠে এই প্রশ্ন। এই আবহে সামনে এল প্রাথমিক রিপোর্ট। 


সামনে এল প্রাথমিক রিপোর্ট: ভেঙে গিয়েছে লাইন, ভেঙে গিয়েছে সিমেন্টের স্লিপার। স্লিপার থেকে ভেঙে ছিটকে বেরিয়ে এসেছে প্যান্ড্রোল ক্লিপ। শনিবার দুর্ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার নলপুর স্টেশনের কাছে। ১ নম্বর লাইন থেকে ২ নম্বর লাইনে ট্রেনের ইঞ্জিন উঠে যায়। গত ৯ নভেম্বর সেকেন্দ্রাবাদ শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আচমকা পয়েন্ট বদল হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা। রিপোর্টে উল্লেখ, ২৬বি থেকে ২৬এ পয়েন্টে গন্ডগোল। ম্যানুয়াল না যান্ত্রিক ত্রুটি খতিয়ে দেখছে ৫ সদস্যের কমিটি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জমা পড়বে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট। 


দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর,৯ তারিখ ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ডাউন মেন লাইন দিয়ে বাউড়িয়া স্টেশন ছাড়িয়ে নলপুর স্টেশনে ঢুকলছিল 22850 ডাউন সেকন্দ্রাবাদ-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। নলপুর পশ্চিম কেবিনের কাছে ২৬ বি পয়েন্টের কাছে লাইনচ্য়ুত হয় ২টি যাত্রী কামরা সহ ৫টি কোচ। ঘটনায় চরম আতঙ্কিত যাত্রীরা। তাঁদের অনেকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার আগে বেশ জোরে শব্দ হয়। প্রথম থেকেই প্রশ্ন ওঠে কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? কারণ হিসেবে যে তথ্য হাতে এসেছে, তাতে তাজ্জব বনে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। কারণ, বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, এদিন যে ঘটনা ঘটেছে তা প্রায় নজিরবিহীন। কীভাবে তা ঘটল, তা নিয়ে ধন্দে রেল আধিকারিকরা। জানা যায় ২৬ বি পয়েন্টের কাছে ডাউন মেন লাইন ধরেই চলতে থাকে ইঞ্জিন ও পার্সেল ভ্যান। পিছনের ৪টি কামরা ঢুকে পড়ে পাশের মিডল লাইনে। প্রায় ২৫০ মিটার এভাবে চলার পর লাইনচ্যুত হয় পার্সেল ভ্যান, ২টি যাত্রীবাহী কামরা হয় ৫টি বগি। এরপরই তদন্ত শুরু করে রেল। ইতিমধ্যেই যার প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। 

এর আগে গত জুন মাসে ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি স্টেশনের কাছে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ট্রেনটিকে পিছন দিক থেকে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। প্রাণ হারান ১০ জন। তারপরেও ঘটেছে একাধিক দুর্ঘটনা। সেই সব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য় জনসংযোগ আধিকারিক, ওমপ্রকাশ চরণ জানিয়েছেন, যাত্রীরা সকলেই সুরক্ষিত। কারও বড় কোনও আঘাত লাগেনি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।    


আরও পড়ুন: Canning Hospital: হাসপাতালেই প্রাণনাশের হুমকি! CMOH-কে চিঠি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের