কলকাতা: ফের আদালতে জোর ধাক্কা রাজ্যের। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ চিকিৎসকদের 'দ্রোহের' কার্নিভালে (Droha Carnival) অনুমতি দিলেন বিচারপতি রবি কৃষণ কপূর। পুলিশের জারি করা ১৬৩ নম্বর ধারা খারিজ করে দেওয়া হল। আর এই নির্দেশের পরই সরকার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দিলেন চিকিৎসকরা। 


কী প্রতিক্রিয়া চিকিৎসকের? 


আদালতের রায়ের পরেই লৌহকপাটের দরজা খুলে যায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। ছিঁড়ে দেওয়া হয় লোহার ব্যারিকেডের শেকল। অনশন মঞ্চে জয়ের শঙ্খধ্বনিও শোনা যায়। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, "আমার মনে হচ্ছে সবাই মিলে শিকল ভাঙার গান গাইছে। এই মোহের উৎসব ভগ্ন হতে বাধ্য। বছরের পর বছর ধরে চলা অনাচারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল ছেঁড়ার গান গাইছে। সেটাই এই মুহূর্তে সবথেকে আনন্দের। আমার মনে হয় এখনও সময় আছে, সরকার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিক। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষ আজকে জেগে উঠেছে, সেটা তাদের কর্ণ কুহুরে প্রবেশ করুক। সদর্থক পদক্ষেপ নিক। নাহলে সত্যি সত্যি খারাপ সময় আসছে।'' 


পুজো মণ্ডপে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান দেওয়ায় গ্রেফতারি থেকে শুরু করে, সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠনের ডাকা 'দ্রোহের কার্নিভাল'এর বিরোধিতা ৫ দিনের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এবিষয়ে চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, "এই যে ভয়ঙ্কর ক্রোধ, এই ক্রোধকে কিন্তু কেউ আটকে রাখতে পারবে না। তার কারণ একটাই, কারণ, মানুষ কিন্তু কোনও শান্তিপূর্ণভাবেই এই ক্রোধকে প্রকাশ করতে চেয়েছে। এখানে যারা কার্নিভাল করছে, তারা কিন্তু আনন্দ-উৎসব করার জন্য় করছে না। তারা কেউ লাঠি-সোঁটা নিয়ে ওই কার্নিভালে কিন্তু অংশগ্রহণ করবে না। এই প্রশাসন কিন্তু নির্বিকার। আমরা এখনও বলছি, এই প্রশাসনের মানবিক মুখ কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। এখানে যারা বসে আছে, তারা কিন্তু এই পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য়ের ভালোর জন্য় চাইছে। তাদের একমাত্র এবং অন্য়তম দাবি হচ্ছে, অভয়ার ন্য়ায়বিচার। অতীতেও চেষ্টা করেছিলেন, আইন দিয়ে বেঁধে রাখবেন। পারেননি। ওখানেও যেমন কার্নিভাল করার অধিকার আছে, এখানেও কিন্তু মানুষের সেই অধিকার আছে। সেই অধিকার আমরা বুঝে নেব। এটা আমাদের প্রতিবাদ করাটা অধিকারের মধ্য়ে পড়ে।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Kolkata News: প্রতীকী অনশনকারী ব্যাজ পরে রেড রোডে, 'আটক' চিকিৎসক