কলকাতা: ফের আদালতে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ চিকিৎসকদের 'দ্রোহের' কার্নিভালে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর আদালতের নির্দেশের পর বদলে গেল ছবিটা। খুলে দেওয়া হচ্ছে লৌহকপাটের তালা। তড়িঘড়ি সেখান থেকে ব্যারিকেড সরাচ্ছে রাজ্য।
রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে দ্রোহের কার্নিভাল আটকানোর চেষ্টায় সচেষ্ট হয় কলকাতা পুলিশ। গতকাল রাতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা প্রয়োগের নির্দেশিকা জারি করা হয়। এদিন সকালে দেখা যায় নিরাপত্তার কড়াকড়ির ছবি। রেড রোড এবং রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দুটি প্রান্তই গার্ডরেল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। গার্ডরেলের চারধারে বাঁশের ব্যারিকেড, লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা হয়। ৬ ফুট উঁচু লৌহ প্রাচীর তো আছেই, দূরপাল্লার রুটের বাসগুলিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। বাসের চালকরা দাবি করেন, পুলিশের তরফে তাঁদের এখানেই বাস রাখতে বলা হয়েছে। আর হাইকোর্টের নির্দেশের পরই বদলে গেল ওই এলাকার ছবিটা।
লোহার শিকলে বাধা গেল না দ্রোহকে। ৭ ফুটের ব্য়ারিকেড আটকাতে পারল না চিকিৎসক-নাগরিকদের কার্নিভাল। পুজো কার্নিভালের দিনই প্রায় একই সময়ে রেড রোড থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে, রানি রাসমণি অ্য়াভিনিউতে শুরু হওয়ার অপেক্ষায় চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের ডাকা দ্রোহের কার্নিভাল। সকাল থেকে দেখা যায় ঠিক এইভাবে কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয় রানি রাসমণি অ্য়াভিনিউকে। কখনও লোহার ব্য়ারিকেড, কখনও বা অ্য়ালুমিনিয়ামের ব্য়ারিকেডে। মোটা মোটা লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় লৌহকপাট। তাতে ঝোলানো হয় তালা।
কিন্তু, হাইকোর্টের নির্দেশের পরই ২ ঘণ্টার মধ্য়ে বদলে যায় ছবিটা। দ্রোহ আটকাতে, সারা সকাল ধরে যে ব্য়ারিকেড বাধা হয়েছিল তা খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এক এক করে খোলা হয় তালা, শিকল সরানো হয় লোহার ব্য়ারিকেড। দেখা যায়, বড় বড় লোহার শিকল রাস্তায় পড়ে আছে। এই শিকল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। লোহার শিকল খোলার কাজ শুরু হয়ে যায়। ব্য়ারিকেড আসতে আসতে ফাঁকা হয়ে যায়। যে জায়গাটা বজ্র আঁটুনি ছিল তা খুলে ফেলা হয়। ২ ঘণ্টার আগে যে পুলিশ গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা আটকেছিল, হাইকোর্টের নির্দেশের পর তারাই তা খুলে দিচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।