কলকাতা: কলকাতায় ভয়াবহ ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। আজ থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার (KMC) ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভেক্টর কন্ট্রোলের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আজ থেকেই চালু হচ্ছে নতুন এই নিয়ম।   


নয়া নির্দেশিকা জারি কলকাতা পুরসভার: রাজ্যজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। বেসরকারি মতে, রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। সরকারি মতে, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩। নির্দেশিকা জারি করে কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে দিনে-রাতে খোলা থাকবে আউটডোর। সপ্তাহে ৪ দিন সোম-বুধ-বৃহস্পতি-শনিবার সকালে আউটডোর খোলা থাকবে। সপ্তাহে ২ দিন মঙ্গল ও শুক্রবার সন্ধেয় খোলা থাকবে আউটডোর। রবিবারও হবে ভেক্টর কন্ট্রোলের কাজ। ভেক্টর কন্ট্রোলের সুপারভাইজার, ইন্সপেক্টর সবাইকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত রবিবারও আসতে হবে কাজে। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পুরসভা। 


কলকাতায় প্রাণঘাতী ডেঙ্গি। এবার মৃত্যু হল কলকাতা পুরসভার ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়গড়ের প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শা রোডের ১২ বছরের বালিকার। যাদবপুর গার্লস হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ডোনা দাস। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর জ্বর আসে। পরের দিনই ডেঙ্গি ধরা পড়ে। শুক্রবার পেটে ব্যথা শুরু হওয়ায় স্থানীয় চিকিৎসককে দেখানো হয়। শনিবার নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে ওই বালিকা। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইমার্জেন্সিতেই মৃত্যু হয় বালিকার। এলাকায় আরও অনেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। দিনের বেলাতেও মশারি টাঙিয়ে রাখতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরসভা কোনও কাজ করছে না। কাউন্সিলরকে জানিয়েও কাজ হয়নি। অসচেতনতাকেই দায়ী করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর বসুন্ধরা গোস্বামী। তাঁর দাবি, চলতি মরশুমে শুধুমাত্র তাঁর ওয়ার্ডেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা পুর-এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। 


ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। চলতি বছরে ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে দেয়নি বলে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটে। তথ্য বলছে, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই এখনও পর্যন্ত কতজন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি। এর আগে ২০২০, ’২১ এবং ’২২ সালে রাজ্য সরকার ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রকে পাঠালেও, ২০১৮ এবং ’১৯ সালেও কোনও তথ্য দেয়নি বলে কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইটে উল্লেখ। 


আরও পড়ুন: North 24 Parganas Weather: রোদ ঝলমলে আকাশ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তর ২৪ পরগনায়