কমলকৃষ্ণ দে, সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, শক্তিগড়: শক্তিগড়ে (Saktigarh) ল্যাংচার দোকানে শ্যুটআউট। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু, আহত আরও ১। গাড়িতে এসে অপর একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি। গাড়ির ভিতরে থাকা ২ জনের দেহে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু একজনের, আহত আরও ১। জাতীয় সড়কে প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। কে বা কারা হামলা চালাল, স্পষ্ট নয়। হামলা চালিয়ে কলকাতার দিকে চলে আসে আততায়ীদের গাড়ি। 


নিহত কয়লা মাফিয়া: ভরসন্ধ্যায় শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে গুলি বৃষ্টি, নিহত কয়লা মাফিয়া। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পরপর ৬ রাউন্ড গুলি, একজনের মৃত্যু, আহত  হয়েছেন ১ জন। ভিড়ে ঠাসা ল্যাংচার দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা এসইউভি-তে এলোপাথাড়ি গুলি চলে। এলোপাথাড়ি গুলি বৃষ্টির পরে নীল রঙের গাড়িতে কলকাতার দিকে চম্পট দেয় আততায়ীরা। নিহত কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা দুর্গাপুরের বাসিন্দা। আসানসোল থানায় নিহত রাজু ঝায়ের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। কয়লা পাচারের অভিযোগে রাজু ঝাকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি।


বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজু: ২০২১-এ বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজু। দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়ি গুলি, নিহত রাজু ঝার পেট-বুকে ২টি গুলি লাগে। নিহত রাজু ঝায়ের সঙ্গীর হাতে গুলি লেগেছে, তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্গাপুর থেকে আসার পথে শক্তিগড়ে শ্যুটআউট, এলোপাথাড়ি গুলি। পুলিশ সূত্রে সন্দেহ  এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরে রাজু ঝা-র ভাইয়ের অফিসে হামলা চলে। ভাইয়ের অফিসে হামলা, টার্গেট ছিল রাজু ঝা।


শক্তিগড়ে শ্যুটআউট! জাতীয় সড়কের ধারে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা-কে গুলি করে খুন। গুরুতর আহত মৃতের সঙ্গীও! পুলিশ সূত্রের খবর, গাড়িতে বসে থাকার অবস্থাতেই রাজু ঝা-কে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় আততায়ীরা। ঘটনাস্থলের আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। আততায়ীদের গাড়ি দ্রুত চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। শুরু হয়েছে নাকা তল্লাশি। 


শক্তিগড়ে ফিল্মি কায়দায় শ্যুটআউট! ভরসন্ধেয় হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। জাতীয় সড়কের ধারে কয়লা মাফিয়া খুন! বুলেট-বিদ্ধ নিহতের সঙ্গীও! ঘড়িতে তখন রাত ৮টা বাজতে যায়!
আদি ল্যাংচা মহলের সামনে এসে দাঁড়ায় রাজু ঝা-য়ের গাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুধ সাদা গাড়ির চালকের পাশের আসনে বসে ছিলেন রাজু ঝা। হঠাৎ তাঁর গাড়ির পাশে এসে দাঁড়ায় নীল রঙের ব্যালেনো!কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই, অন্তত ৬ রাউন্ড গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় রাজুকে! গাড়ির পিছনের আসনে বসেছিলেন রাজুর ছায়াসঙ্গী ব্রতীন মুখোপাধ্যায়!


তাঁকেও লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা! গুলিবিদ্ধ রাজু ও তাঁর সঙ্গী ব্রতীনকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অনাময়ে। সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয় রাজু ঝা-কে। ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ভর্তি বর্ধমান মেডিক্যালে। ভয়ঙ্কর এই হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ সুপার নিজে। 


খোঁজ শুরু হয়, নীল রংয়ের গাড়ির! পুলিশ সূত্রে গেছে, দুর্গাপুর থেকে কলকাতার দিকে আসছিল রাজুর গাড়ি। পিছু নিয়েছিল আততায়ীরা। শক্তিগড়ে আদি ল্যাংচা মহলের সামনে রাজু ঝা-র গাড়ি দাঁড়ানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যায় আততায়ীরা! শ্যুটআউটের পরে গাড়িটি কলকাতার দিকে পালায়! যে ঝালমুড়ির দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে 
তার বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।


ঘটনাস্থল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরেই পালসিট টোল প্লাজা। আততায়ীদের গাড়ি চিহ্নিত করতে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। জাতীয় সড়কের ধারে লাগানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।