কলকাতা: জামিনের আবেদন খারিজ, ২৪ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। 'দুর্নীতির নেপথ্যে কুন্তল, পুরো দুর্নীতি কুন্তল করেছে। আগামীতে প্রমাণ হবে', ইডি হেফাজতের পর দাবি হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
প্রসঙ্গত, এদিন নিয়োগে দুর্নীতির দায় কুন্তলের উপরেই চাপিয়ে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন শান্তনু। বলাগড়েরই যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই আরেক যুব তৃণমূল নেতার অভিযোগ। 'মাস্টারমাইন্ড কুন্তল', মিথ্যা অভিযোগে ভুলপথে চালনার অভিযোগ ধৃত শান্তনুর। তিনি বলেন, 'কুন্তল টাকা পাচার করেছে অন্য রাজ্যে। কুন্তল এজেন্টদের ভয় দেখাচ্ছে, অন্য রাজ্যে টাকা পাঠাচ্ছে ওর লোকজন কয়েকশো এজেন্টের থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছে কুন্তল। কারও নির্দেশে টাকা দেওয়া হয়নি, মিথ্যা কথা বলছে কুন্তল। আমি কোনও কিছুতে জড়িত নই, আগামীদিনে প্রমাণ হবে। আমার সব লিগাল, আগামীদিনে প্রমাণ হবে'। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে পেশের আগে দাবি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিকে, সময় যত এগোচ্ছে, ততই নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকার অঙ্কের সংখ্যা বাড়ছে। প্রকাশ্যে আসছে একাধিক নাম, একাধিক যোগসূত্র। এই আবহে এদিন আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি। জানান হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২টি ফোন পাওয়া গেছে, তা আসলে সোনার খনি, খতিয়ে দেখতে হবে। কেস ডায়েরিতে এমন এমন নাম, সব দেখলে চমকে যাবেন।
ইডি এও জানায়, ১০০, ২০০ নয়, রাজ্যে স্কুলে নিয়োগে ৩৫০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে। তারা বলে, আগে মনে হচ্ছিল ১১১ কোটির দুর্নীতি, এখন মনে হচ্ছে ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কার। কুন্তলের কাছ থেকে নগদে ১ কোটিরও বেশি পেয়েছিলেন শান্তনু। সোমবার হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে হেফাজতে চেয়ে দাবিও জানিয়েছে ইডি। এদিন ইডির তরফে বলা হয়, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২টি ফোন পাওয়া গেছে, তা আসলে সোনার খনি, খতিয়ে দেখতে হবে। আরও অনেক প্রভাবশালী জড়িত, কেস ডায়েরিতে সব স্পষ্ট হবে'।
নিয়োগ দুর্নীতিতে শান্তনুকে কোর্টে পেশ করে বিস্ফোরক দাবি করে ইডি বলে, বছরে ৬ লক্ষ টাকা রোজগার থেকে কীভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক? ৫১ কাঠা জমি, রিসর্ট, বাংলো-টাকা কোথা থেকে পেলেন যুব তৃণমূল নেতা? নিজের স্ত্রীর নামে সংস্থা খুলে খেলার চেষ্টা করছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। কেলেঙ্কারি দেখে এভারেস্টকেও অযোধ্যা পাহাড় বলে মনে হচ্ছে'।