ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : আরও ডানাছাঁটা হল শান্তনু সেনের। সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে অপসারিত শান্তনু সেন, এমনই খবর সূত্রের। এর আগে NRS মেডিক্যালের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে আগেই সরানো হয়েছে তৃণমূলের চিকিৎসক নেতাকে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সরকারি প্রতিনিধি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শান্তনু সেনকে। খুব শীঘ্রই তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে স্থলাভিষিক্ত করা হবে।
এই সিদ্ধান্তের কথা অনেক আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল। কারণ, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি এর আগে স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি লিখেছিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সরকারি প্রতিনিধি পদ থেকে শান্তনু সেনকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, বেশকিছু বৈঠকে তিনি আসেননি। মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে তিনবারের বেশি উপস্থিত না থাকলেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া যায়। সেইমতো স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা চিঠি লিখেছিলেন শান্তনু সেন। স্বাস্থ্য সচিব এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতিকে চিঠি লিখেছিলেন। শেষমেশ দেখা গেল, স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতির সুপারিশই মেনে নেওয়া হল।
এ প্রসঙ্গে শান্তনু সেন বলেন, মিডিয়ার কাছ থেকে এটা শুনেছি। অফিসিয়াল কোনও কমিউনিকেশন পাইনি। অফিসিয়াল কমিউনিকেশন না পেলে এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না। তবে, এটা সরকারি সিদ্ধান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর এক্তিয়ার আছে যে কোনও সময় যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তিনি সেটা নিতেই পারেন। যদিও কাউন্সিল নিয়ে আমার কিছু কথা বলার ছিল। যেগুলো আমি কখনোই প্রকাশ্যে বলব না। চিঠি দিয়ে জানিয়েওছিলাম। যদি কখনো সরকার, স্বাস্থ্য সচিব বা মুখ্য়মন্ত্রী আমার কাছ থেকে জানতে চান, আমি নিশ্চয়ই বলব। তিনি আমাকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। তার জন্য তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
আর জি কর মেডিক্য়ালে ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর, কার্যত মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকারের উল্টো সুরে বিস্ফোরক মন্তব্য় করেছিলেন শান্তনু সেন। তারপর তাঁকে তৃণমূলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শান্তনু সেনের নিরাপত্তা তুলে নেয় রাজ্য সরকার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।