সমীরণ পাল, গাইঘাটা : উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paragana) গাইঘাটার মানিকহীরা দেশপাড়ায় খুন হওয়া বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) ও বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। নিহতের পরিবারের সদস্য়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পরিবার বিজেপি সমর্থক। তাই গালিগালাজ। এর প্রতিবাদ করায় গতকাল ৬২ বছরের প্রৌঢ়াকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।


প্রবল আক্রোশ। তৃণমূল নেতার ঘর ভাঙচুরের চেষ্টা ! তৎপর পুলিশ! ৬২ বছরের মহিলাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ! আর তাতে রাজনৈতিক রং লাগতেই তেতে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মানিকহীরা দেশপাড়া এলাকা!


বিজেপি কর্মীর মা-কে বাঁশপেটা করে খুনের অভিযোগে জড়ায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর নাম ! আর সেই ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে গ্রামবাসীর একাংশের রোষ আছড়ে পড়ল বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি ও গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নিরুপম রায়ের বাড়িতে ! 


গাইঘাটা থানার পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম কানন রায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া বয়ান থেকে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কানন রায়ের পরিবার বিজেপির সমর্থক। তা নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমীর মল্লিকের সঙ্গে তাঁদের আকচা-আকচি অনেকদিন ধরেই চলছিল।


অভিযোগ, বুধবার রাতে, কানন রায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে গালিগালাজ করেন তৃণমূল কর্মী সমীর মল্লিক। বচসা থেকে বাধে হাতাহাতি। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, হঠাৎ বাঁশ তুলে মহিলার মাথায় সজোরে আঘাত করেন সমীর! বাঁচাতে গেলে মৃতার বৌমা এবং স্বামীকে বেধড়ক মারধর করা হয়।


অভিযোগ পেয়েই, তৃণমূল কর্মী সমীর মল্লিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু, সমীর মল্লিক, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায়ের মদতপুষ্ট অভিযোগে, গতকাল সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়! 


ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। 


এদিকে দলীয় সাংগঠনিক পদ বণ্টন ঘিরে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে প্রকাশ্যে চলে এসেছে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। বুধবার বারাসাতে সাংগঠনিক বৈঠক ছিল বিজেপির। সেখানেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক ভাস্বতী সোম ও মহিলা মোর্চা নেত্রী সোনালি দে। অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করান আহত মহিলা মোর্চা নেত্রী সোনালি দে। দুই নেত্রীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় শোরগোলের মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় জেলা সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা নিতু ঘোষের পোস্ট ঘিরেও প্রকাশ্যে এসেছে বারাসাতে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। প্রকাশ্যে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এক বিজেপি নেতা।