ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের (Sheikh Shahjahan Arrest) পরেই সন্দেশখালিজুড়ে (Sandeshkhali Chaos) দেখা গেল পুলিশি তৎপরতা। সকাল থেকে মোড়ে মোড়ে পুলিশ পিকেট রয়েছে। মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে।
গ্রেফতার শেখ শাহজাহান: ED-র ওপর হামলার ৫৬ দিনের মাথায় রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। পুলিশ সূত্রে খবর, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির (Law And Order situation) আশঙ্কায় ধৃত তৃণমূল নেতাকে ভোরেই নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। সেখানেই কোর্ট লক আপে রাখা হয়েছে শেখ শাহজাহানকে। তাঁর বিরুদ্ধে জমি জবরদখল থেকে শুরু করে নোনাজল ঢুকিয়ে জোর করে ভেড়ি তৈরি করা, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি-সহ ভুরিভুরি অভিযোগ রয়েছে গোটা সন্দেশখালিজুড়ে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। আজই তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
কী পরিস্থিতি সন্দেশখালির?
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন গ্রামবাসীরা। বারবার শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি দাবি করছিলেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা। তৃণমূল নেতা ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্দেশখালিজুড়ে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। গতকাল সন্ধে থেকেই তৃণমূল নেতার খাস তালুক সরবেড়িয়া থেকে শুরু করে সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চাপা উত্তেজনা ছিল। এরপরই খবর আসে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়েছেন। এদিন সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তা সন্দেশখালিজুড়ে। বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে পুলিশি তৎপরতা। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রায় প্রতিটা মোড়ে রয়েছে পুলিশ পিকেট। সঙ্গে করা হচ্ছে মাইকে প্রচার।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যায় ED। সেই সময় উত্তেজিত জনতা তদন্তকারী আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর চড়াও হয়। মার খেয়ে পালিয়ে আসতে হয় ED-র আধিকারিকদের। তার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন শেখ শাহজাহান। ক্রমেই লম্বা হচ্ছিল শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা। এই আবহে দিনকয়েক আগে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় হাইকোর্ট। তারপরই গ্রেফতার হলেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।