কৌশিক গাঁতাইত, জামুড়িয়া (পশ্চিম বর্ধমান): পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) জামুড়িয়া থানার চাঁদা মোড়ে শ্যুটআউট (Shootout)। গুলি করে খুন করা হল ইসিএল কর্মীকে (ECL Worker)। মৃতের নাম মদন বাউড়ি। বছর পঞ্চাশের ঐ ব্যাক্তির বাড়ি রানিগঞ্জের সাপুই এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাত ৯টা নাগাদ জামুড়িয়ার চাপুই রোডে একটি মাংসের দোকানে বসেছিলেন ওই ইসিএল কর্মী। অভিযোগ, কাপড়ে মুখ ঢাকা দুষ্কৃতী হেঁটে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর পঞ্চাশের ইসিএল কর্মীর। কিন্তু কী কারণে হামলা করা হল তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্তে জামুড়িয়া থানার পুলিশ। 


অন্যদিকে হাওড়ায় (Howrah) শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে (Shootout)। নাজিরগঞ্জে খুন হলেন তৃণমূল নেতা (TMC Leader) ওয়াজুল খান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ বাড়ির কাছে বসেছিলেন বছর বাহান্নর ওই তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ (Point Blank Range) থেকে তাঁকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করা হয় নারায়ণা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Narayana Super Speciality Hospital)। সেখানেই হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। দলীয় নেতা খুনের নেপথ্য বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত আছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির দাবি, এই ঘটনার দলের কোনও যোগ নেই।


উল্লেখ্য জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জেও (Rakganj) একই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের বুথ সভাপতিকে গুলি (Shootout)। গুলিতে জখম তৃণমূল নেতার নাম মহম্মদ সুলেমান। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত রবিবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ রাজগঞ্জ ব্লকের গণ্ডারমোড় এলাকায় লটারির দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন মহম্মদ সুলেমান। অভিযোগ, সেই সময় দুই বাইক আরোহী টুপি, মাস্ক পরে দোকানে এসে তৃণমূল নেতার (TMC Leader) মাথার পিছনে গুলি করে। 


আরও পড়ুন: Kolkata Fire: ভোরবেলায় উল্টোডাঙার ডালের গুদামে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১২ ইঞ্জিন