কলকাতা : ত্রিপল চুরির মামলায় আপাতত স্বস্তিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মামলায় তদন্তের ওপর আগামী ৬ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে ত্রিপলকাণ্ড ঘিরে সরগরম পূর্ব মেদিনীপুর। কাঁথি পুরসভার ডরমেটারি বিল্ডিং থেকে ত্রাণের সরকারি ত্রিপল চুরির অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারী ও সৌম্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে পুর কর্তৃপক্ষ।


এরই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েক মাস ধরে সেই মামলারই শুনানি চলছে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। এদিনও সেই মামলার শুনানি ছিল। তাতে বিচারপতি কৌশিক চন্দ । কাঁথির ত্রিপল চুরির মামলায় সব ধরনের তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপর ছয় সপ্তাহ স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন। 


একইসঙ্গে এই মামলায় রাজ্য সরকারকেও হলফনামা জমার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পুজোর ছুটির পর আবার এই মামলার শুনানি হবে। 


অন্যদিকে, গত ৬ সেপ্টেম্বর পাঁচটি মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া, পাঁচটি FIR খারিজের আবেদন জানিয়ে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কাঁথিতে প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীর খুনের মামলা, নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষের মামলা, পাঁশকুড়ায় সোনার হার ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা সোমবার নির্দেশ দেন, মানিকতলা থানায় চাকরির নামে প্রতারণা ও তমলুকে পুলিশ সুপারকে হুমকি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে কোনও মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। আদালতের অনুমতি ছাড়া, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ ও CID। ভবিষ্যতেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা হলে, আদালতের নির্দেশ ছাড়া কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার।