কলকাতা: সোমবার হঠাৎই সোশাল মিডিয়ায় বিপর্যয়। এই প্রথম বেশ অনেকক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ। কাজ বন্ধ করেছিল ফেসবুকের মেসেঞ্জারও। একমাত্র টুইটার কাজ করায় সেখানেই অসুবিধার কথা জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা। 


প্রায় সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর অবশেষে ভারতীয় সময়ে ভোরবেলায় চালু হল তিনটি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মই। সোমবার রাত ন’টা নাগাদ বিশ্ব জুড়ে প্রথম বন্ধ হয় হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা। এই প্রেক্ষিতে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক সংস্থার তরফে ক্ষমা চেয়ে টুইটও করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের তরফে বলা হয়েছে, "যারা আজকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারছেন না তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমরা ধীরে ধীরে এবং সাবধানে হোয়াটসঅ্যাপের কাজ শুরু করেছি। ধৈর্য্য ধরার জন্য আপনাদের প্রত্যেককে  অনেক ধন্যবাদ। আমরা এই আপডেট করা চালিয়ে যাব।"



শুধু তাই নয়, যেই মূহুর্তে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেই সময়ও একটি টুইট করে হোয়াটসঅ্যাপ। তাঁরা বলে, "এই মুহূর্তে বেশ কিছু মানুষের হোয়াটসঅ্যাপে যে বিপত্তি দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে আমরা অবগত। তবে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। এ নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব আপডেট দেওয়া হবে।" 


সমস্যার কথা স্বীকার করে দুঃখপ্রকাশ করেছে ফেসবুকও। ওয়েব পরিষেবার গতিবিধি সম্পর্কিত খবরাখবর পরিবেশনকারী একটি ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টর ডট কম জানিয়েছিল, শুধুমাত্র তাদের পোর্টালেই ২০ হাজার ব্যবহারকারী ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম নিয়ে অভিযোগ করেন। 



বিশ্বজুড়েই হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট। একসঙ্গে অকেজো হয়ে পড়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ। সোমবার রাত সোয়া ৯টা থেকে এই সমস্যায় ভুক্তভোগী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবহারকারীরা। দুর্ভোগের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলে বার্তা দেয় ফেসবুক। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, শুধুমাত্র ভারতেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৩ কোটি। ফেসবুক ব্যবহার করেন ৪১ কোটি ভারতবাসী। এদেশে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন ২১ কোটি মানুষ।