সনৎ ঝা, দার্জিলিং: পুরভোটের (Municipality Vote) প্রচারে বামেদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল (TMC)। শিলিগুড়ির (Siliguri) সিপিএম (CPM) প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যের (Ashok Bhattacharya) এই দাবি ঘিরে তুঙ্গে তরজা। পাল্টা কটাক্ষ ছুড়েছে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP)।


‘পুরভোটে বামেরা ক্ষমতায় এলে সাহায্য করবে না রাজ্য সরকার! তাই বামেদের ভোট দিয়ে লাভ নেই।’ পুরযুদ্ধের ময়দানে তৃণমূল বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও চাপের রাজনীতি করার অভিযোগ তুললেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র ও সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য।


অশোক ভট্টাচার্যের কথায়, বামেরা ক্ষমতায় এলে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করবে না। শুধু চিঠি লিখতে হবে আর ধর্না দিতে হবে, শিলিগুড়ির উন্নয়ন হবে না। তৃণমূলের এই প্রচার অসাংবিধানিক।


২০১৫-তে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে শিলিগুড়িতে পুরবোর্ড গড়ে বামেরা। মেয়র হন অশোক ভট্টাচার্য। অতীতে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার, বাম পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভাকে নানা বিষয়ে বঞ্চিত করছে বলে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন তিনি। 


পুরভোটের মুখে ফের সেই অভিযোগের বিষয়টিই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অশোক ভট্টাচার্য আরও বলছেন, বিধানসভা ভোটেও এভাবে বিজেপি প্রচার চালিয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রাপ্য টাকা দিতেই হবে। আগেও আমরা লড়াই করে প্রাপ্য আদায় করেছি। প্রয়োজনে আবারও লড়াই করে আদায় করব।


শিলিগুড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রঞ্জন সরকারের কথায়, আমাদের এসব প্রচারের প্রয়োজন নেই। অশোক বাবুকে এসব ভাবতে হবে না। উনি ক্ষমতায় আসবেনও না। তাই বঞ্চনার প্রশ্ন ওঠেও না।


পুরভোটের মুখে তৃণমূল-সিপিএমের ‘বঞ্চনা’ তরজা। ফের ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের পক্ষে সওয়াল বিজেপির! এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলছেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকার থাকলে লাভ হবেই। কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার থাকলে উন্নয়ন ভালো হয়, এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এটাও বাস্তব যে প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা যায় না। যে কারণে রাজ্যকে বঞ্চিত করেনি কেন্দ্র।


১২ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি পুরসভার ভোট।ল৪৭ ওয়ার্ডের শিলিগুড়ি পুরসভায় তৃণমূল ও বিজেপি প্রতিটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট প্রার্থী দিয়েছে যথাক্রমে ৪৬ ও ৩৬ আসনে। এখন দেখার, ১৪ ফেব্রুয়ারি কাদের পক্ষে যায় জনাদেশ।