বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি: হাতির হানায় মৃত্যু হল এক মহিলার। টুকরিয়া ঝাড় বনাঞ্চলে জ্বালানি কাঠ নিতে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হল এক মহিলার। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। মৃত মহিলার নাম গৌরি অধিকারী। সে ওই এলাকারই বাসিন্দা। জানা গিয়েছে এদিন জ্বালানি কাঠ নিতে জঙ্গলে ভেতরে ঢোকে কয়েকজন মহিলা। ভেতরে ঢুকতে গিয়েই হাতির কবলে পড়ে তারা। তবে বাকিরা পালাতে সক্ষম হলেও মুখে পড়ে যায় ওই মহিলা। এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহিলার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় টুকরিয়া ঝাড় বনাঞ্চলে রেঞ্জার সহ বনকর্মীরা ও পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উওরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পাঠানো হয়।
এর আগে রাজ্যের অন্য প্রান্তে একটি খবর কিছুদিন আগে এসেছিল। সেখানেও হাতির তাণ্ডবের ছবি ধরা পড়েছিল। ঝাড়গ্রাম ব্লকের কলসিভাঙা এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বনদফতর এর গাড়ি ভেঙেছিল একটি দল ছুট দাঁতাল হাতি। জানা গেছে ঘটনার দিন সকাল থেকে একটি দলছুট হাতি ঝাড়গ্রাম ব্লকের কলসিভাঙ্গা এলাকায় গিয়ে তান্ডব চালায়। মাঠে গিয়ে ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি লোকালয়ে গিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। সেদিন মাধ্যমিক পরীক্ষা ছিল। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দের যাতে কোনরকম অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয় তার জন্য ওই হাতিটিকে নজরদারি করার জন্য ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও বন দফতর।
তার কিছুদিন আগেই ফের দাঁতাল হাতির দাপাদাপিতে চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়ার ঝালদাতে। শহর লাগোয়া গ্রামে ঢুকে পড়ল একটি দল ছুট হাতি। সোমবার সন্ধ্যার সময় জঙ্গল থেকে ঝালদা থানা এলাকার পাটঝালদা গ্রামে ঢুকে পড়ে এই দাঁতালটি। বন বিভাগের কর্মীরা তাঁকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।
এরপর দাঁতালটি ঝালদা লাগোয়া দারদা গ্রামের মধ্যেও ঢুকে পড়ে। হাতির ভয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পরে যায়। আতঙ্ক সৃষ্টি হয় গোটা গ্রামে। যদিও এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার প্রাণী নয় গজরাজ। হাতিটি এক গ্রামের ভেতর দিয়ে ঢুকে গ্রামের অন্য প্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে যায়। বনদফতরের কর্মীদের আশঙ্কা ঝালদা শহরের লাগোয়া এই দারদা গ্রাম হওয়ায় হাতিটি যেকোনও সময় ঝালদা শহরে চলে আসতে পারে।
এই আশঙ্কা থেকে ঝালদা থানার পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা শহরবাসীকে ঘর থেকে না বেরোনোর কথা জানিয়েছেন। হাতির আতঙ্কে শহর ঝালদায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই খবর আসে হাতিটি ঝালদা থানা এলাকার পাটঝালদার গ্রাম হয়ে কোটশীলা থানার লুপুংডির দিকে চলে যায়।