বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি: দুই প্রেমিকাকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা অভিযুক্তের। চার মাস পর মাটি খুঁড়ে তরুণীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। অন্যদিকে আরও একজনের কম্বলে মোড়ানো দেহ পরিত্যক্ত জমি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আখতারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


অভিযুক্ত শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার শুটকি হাটের বাসিন্দা। দুজনের একজন বিবাহিত ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিবাহিত ওই যুবতী মাটিগাড়ার টুম্বাজোতের বাসিন্দা। আরএকজন মাটিগাড়ার চাঁদমণি এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্তকে পুলিশ প্রাথমিক জেরা করে জানতে পেরেছে, সে নিজেও বিবাহিত। তার স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে।


বহুদিন ধরেই ওই অভিযুক্তের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব, জোন ১) জয় টুডু বলেন, 'ঘটনায় ওই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেহ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  তবে ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' 



গত ৩১ আগস্ট চাঁদমণির ওই যুবতীর দেহ মাটিগাড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় উদ্ধার হয়। মাসখানেক ধরে ওই যুবতী নিখোঁজ ছিল। তদন্তে নেমে মাটিগাড়া থানা ও মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিশ মহম্মদ আখতারকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করলে পুলিশ জানতে পারে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায়  মদ পান করিয়ে ওই যুবতীকে খুন করা হয়। এর পর তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা জেরায় আরও চাপ বাড়ালে চারমাস আগে একইভাবে আরেক প্রেমিকাকে খুন করে দেহ লোপাটের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত।


এর পর অভিযুক্তের বয়ান অনুযায়ী সোমবার দুপুরে মাটিগাড়ার কবরস্থান আরেক প্রেমিকার কঙ্কালসার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনায় দুই যুবতীর পরিবারের সদস্যদের তলব করা হয়েছে। তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।


উল্লেখ্য, আজই দেগঙ্গায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের রহস্যমৃত্যু। দরজা ভেঙে বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। কীভাবে মৃত্যু? ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।