বাচ্চু দাস, দার্জিলিং: স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনায় (Murder Case) উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়িতে (Siliguri)। পুলিশের (Police) কাছে আত্মসমর্পণ (Surrender) অভিযুক্তের। স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ি সংলগ্ন আশিঘরের পুর্ব চয়নপাড়া এলাকার। বুধবার সকালে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের আশিঘর ফাঁড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মৃত মহিলা সাইকেল নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে আসেন। পেছনে পেছনে ছুটতে ছুটতে আসেন মহিলার স্বামী বছর ৪২-এর অজিত দাস। জানা গিয়েছে, দুজনই ডাবগ্রাম ২ অঞ্চলের মাঝাবাড়ি এলাকায়। আশিঘর মোড় পেড়িয়ে পুর্ব চয়নপাড়ার একটি গলিতে ঢুকতেই একটি ইট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় সজোরে আঘাত করতে থাকেন। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মহিলা। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আশিঘর ফাঁড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে স্ত্রীকে মারার পর ওই ব্যক্তি নিজেই একটি ইটের টুকরো নিয়ে আশিঘর ফাঁড়িতে আত্মসমর্পণ করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।  পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন।  মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে তার চিকিৎসা চলছিল। সেই কাগজ নিয়েই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসা বাধে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত খুনের কোনও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


আরও পড়ুন, অনুব্রতর বিরুদ্ধে 'খুনের চেষ্টা'-র মামলায় ৩ দিন পার, শিবঠাকুরের 'বয়ান রেকর্ড করেনি পুলিশ'


প্রসঙ্গত, বারুইপুর থানায়  গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। মৃতার নাম অপর্ণা পৈলান বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর বয়স ৩০ বছর। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে শিখরবালি ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা অপর্ণার সঙ্গে বছর আটেক আগে বিয়ে হয়েছিল সৌমেন পৈলানের। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য অতিরিক্ত টাকা চাইছিল জামাই-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। হালেই ফের দশ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা মেটানোও হয়েছিল বলে দাবি অপর্ণার বাপের বাড়ির পরিজনদের। তার পরও শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার বন্ধ হয়নি। এর পরই এই ঘটনা। আপাতত কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের কল্যাণপুর দেবীপুরে এলাকার বাসিন্দা সৌমেন পৈলানকে গ্রেফতার করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। পণের দাবিতে বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ অবশ্য এই রাজ্যে নতুন নয় একেবারেই। বধূ তো বটেই, তাঁর পরিজনকেও এই অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছে এমন অভিযোগও রয়েছে। চলতি বছরের মে মাসেই নদিয়ায় এমন একটি ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল।