সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে (Siliguri) একই ঘর থেকে দম্পতির মৃতদেহ (Death Mystery) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত দম্পতির নাম উজ্জ্বল কুমার সিনহা ও দেবলীনা সরকার সিনহা বলে জানা গিয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকত উজ্জ্বল। জানা গিয়েছে উজ্জ্বল বাবু পেশায় প্রাইভেট টিউটর ও দেবলীনা দেবী আর্টের শিক্ষিকা। বুধবার সকালে তাঁরা ঘর থেকে না বের হওয়ায় সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। এরপরই দরজা খুলে ভেতরে যান তাঁরা। দেখা যায়, বিছানায় উজ্জ্বল সিনহার দেহ পড়ে রয়েছে ও মেঝেতে রয়েছে দেবলীনা দেবীর দেহ। এরপরই শিলিগুড়ি থানায় খবর দেওয়া হয়।


পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করেছে। তবে দুজন আত্মহত্যা করেছে নাকি অন্য কোনও ঘটনা তা নিয়ে রহস্য রয়েছে।  ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান কাউন্সিলর সঞ্জয় শর্মা। মৃত দেবলীনা সরকার সিনহার মা শিপ্রা সরকার বলেন, 'দুজন ১১ টা নাগাদ বাড়ি থেকে টিউশন পড়ানোর জন্য বের হয়। কিন্তু গতকাল না বের হওয়ায় সন্দেহ হয়। বড় মেয়েকে খবর দিই। তাঁরা এসে ডাকাডাকি করলেও দরজা খুলেনি। এরপর দরজা ভাঙতে দেখা যায় তারা একজন বিছানায় ও একজন নিচে পড়ে রয়েছে।' 


প্রসঙ্গত, এর আগে অক্টোবারের শেষে দম্পতির দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল কোচবিহারে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুন্ডিবাড়ি ও কোতয়ালি থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর আসে, মৃত দম্পতির নাম বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ও লক্ষ্মী চক্রবর্তী। দুজনেই পঞ্চাশোর্ধ্ব বলে খবর। হঠাৎ কেন এমন ঘটল, নেপথ্যে কোনও রহস্যজনক কিছু ঘটেছে কিনা তা নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।  দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্তে নামে পুলিশ।


আরও পড়ুন, ‘মেধা নয়, প্রভাব খাটিয়ে ২ তৃণমূল নেতার কন্যার মেডিক্যালে ভর্তি'-র অভিযোগ ! দিলীপের নিশানায় কে ?


স্থানীয় সূত্রে খবর, পরপর দুই দিন দম্পতিকে বাইরে বেরোতে দেখা যায়নি। তাতেই এলাকার লোকজনের সন্ধেহ হয়। এরপর সকালে বাড়ির সামনে আসতেই দুর্গন্ধ পান তাঁরা। এর পরে দরজা খুলেই দেখতে পান স্ত্রী মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন। স্বামীর দেহ ঝুলছে। পুলিশে খবর যায়। পড়শিদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, তাঁরা একাই বাড়িতে থাকতেন। ছেলে বাইরে থাকেন। পুলিশ জানায়,  স্ত্রীর মৃতদেহ ঘরের বিছানায় পচা গলা অবস্থায় পড়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। স্থানীয়দের কেউ কেউ জানিয়েছেন মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা চলত।। ঘটনার খবর পেয়ে তাঁদের ছেলে এসেছেন। সঠিক তদন্তেরও দাবি করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত জুনে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় এক গুজরাতি দম্পতির দেহ উদ্ধার ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল কলকাতা তথা বাংলা।