সনৎ ঝা, দার্জিলিং: মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ছাত্র ছাত্রীদের পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীরা এখনও সরকারি পঠন পাঠন ব্যবস্থার বাইরে। কবে শিশুরা স্কুলে যাবে তা এখনও অনিশ্চিত। তবে সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় না থেকে শিলিগুড়ির এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের উদ্যোগে খুলে দিয়েছেন স্কুল। তবে স্কুলের শ্রেণি কক্ষ নয় পাড়ার মধ্যে কমিউনিটি হলে চতুর্থ শ্রেণির শিশুদের বিশেষ কোচিং দেওয়া হচ্ছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানতে পেরে স্কুলে এসে বললেন শিক্ষকদের এই উদ্যোগ বিরল। সরকারি নির্দেশ নেই স্কুল খোলার। প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুল চালানো যদি সরকারি ভাবে অপরাধ হয় তবে এই অপরাধ আমি বার বার করতে চায়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে এই শিশুরা শিক্ষার দিক থেকে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে। 


এদিকে পুরভোটের আগে, ডামাডোল শিলিগুড়িতে। পুরভোটের (Municiality Election) দিন ঘোষণা না হলেও শিলিগুড়িতে (Siliguri) প্রার্থীপদ নিয়ে তৃণমূলের (TMC) অসন্তোষ সামনে চলে এল। শাসক শিবির সূত্রে খবর, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতে পারেন গৌতম দেব (Gautam Deb)। এই জল্পনা চাউর হতেই বিরোধিতায় সরব হয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব। এমনকি এলাকার কাউকে প্রতিনিধি চেয়ে দাবিসনদ পাঠানো হয়েছে দলের জেলা সভানেত্রীর কাছে।


পুরভোটে (Municiality Vote) কি শিলিগুড়ির (Siliguri) ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতে পারেন গৌতম দেব? তৃণমূলের (TMC) একটি দাবিসনদকে ঘিরে জোরাল হচ্ছে প্রশ্ন। সেই সঙ্গে ঘোরাল হচ্ছে রাজনীতি। সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২৫ জন তৃণমূল সমর্থকের সই সম্বলিত একটি দাবিসনদ দলের দার্জিলিং (Darjeeling) জেলা সভানেত্রীর কাছে পাঠানো হয়।


তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই দাবিসনদে আসন্ন পুরভোটে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে থেকে কাউকে প্রার্থী করার আর্জি জানানো হয়েছে। পুরভোটের দিনক্ষণ যখন ঘোষণা হয়নি, তখন আগেভাগে এমন আবেদন কেন? নেপথ্যে উঠে আসছে প্রার্থী অসন্তোষের গুঞ্জন। শিলিগুড়ি পুরসভার (Siliguri Municipality) প্রশাসক পদে রয়েছেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব (Gautam Deb)।