কলকাতা: আজ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে SSC নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলার চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে। সোমবার আদালতে পাল্টা সওয়াল করে মামলাকারীদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'কেউ কোথাও ঘুষ দিয়ে বা নিয়ে থাকলে তার মানে এই নয় সবাই খারাপ। ভাল-খারাপের বিভাজন করা হোক'। এদিন তিনি আরও বলেন, 'যাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়, সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁদের কথা শোনেনি। সিঙ্গল বেঞ্চের সামনে এসএসসি সবসময় ভয়ে থাকত। মেধাতালিকা প্রকাশের তিন বছর পরে নবম-দশমের মামলা হাইকোর্টে দায়ের হয়। প্যানেল খারিজের দাবি তোলা হয়, সেই সময় আদৌ কোনও কার্যকরী প্যানেল ছিল?'                                                         


এ দিন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন করেন, 'বেছে বেছে কেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাগুলি করা হল? কেন ৩ বছরে অন্য কোনও এজলাসে মামলা দায়ের করেননি মামলাকারীরা?' আগামীকাল ফের শুনানি হবে।  


উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে, কলকাতা হাইকোর্টে এই দুর্নীতি মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে জমা দিয়েছে রিপোর্টও। SSC মামলায় CBI-এর চূড়ান্ত চারটি চার্জশিটেই দুর্নীতির মধ্যমণি হিসেবে নাম রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।এ ছাড়াও, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাজর্শিটে নাম রয়েছে পার্থর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন শর্মিলা মিত্র এবং OMR শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা গাজিয়াবাদের নাইসা আধিকারিক পঙ্কজ বনসলের।


এদিন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চূড়ান্ত শুনানি চলাকালীন বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। বলেন, 'মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, আর আদালত পদক্ষেপ করলেই এক্তিয়ার বহির্ভূত!' তিনি আরও বলেন, 'তদন্ত বিলম্বিত করার জন্য অনেক কিছু করা হয়েছে। মেধাতালিকা যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য অসদুপায়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন'। এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক প্রশ্ন করেন 'যিনি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নেন, তিনি জানেন মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে। মেধাতালিকা বা প্যানেল প্রকাশ পেলে কীভাবে কারও সম্মানহানি হতে পারে?'