কলকাতা: ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন, অর্থাৎ SIR ঘিরে তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। সেই আবহেই পশ্চিমবঙ্গের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হল। আপাতত খসড়া তালিকায় ৫৮ লক্ষের বেশি নাম বাদ গিয়েছে। আনম্যাপড ভোটারের সংখ্যাও ৩০ লক্ষ, অর্থাৎ ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে কোনও ভাবে তাঁদের সংযোগ বের করা যায়নি। কী কারণে, কার নাম বাদ গেল, তার কারণও উল্লেখ করা রয়েছে খসড়া ভোটার তালিকায়। 

Continues below advertisement

মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তাতেই বাদ পড়া ভোটারের নামের পাশে, নাম বাদ দেওয়ার কারণও উল্লেখ রয়েছে। নামের পাশে হয় মৃত, নয়ত অনুপস্থিত, অথবা ডুপ্লিকেট, এমন কারণের উল্লেখ রয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত কোনও অসঙ্গতি চোখে পড়লে BLO-কে গিয়ে জানানো যাবে। কাগজপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বেও কেন 'অনুপস্থিত' লেখা রয়েছে, প্রশ্ন নিয়ে যেতে পারেন যে কেউ। অনুপস্থিত থাকলে সেকথাও জানানো যাবে, সেই মতো সাহায্য় করতে হবে BLO-দের। 

আবার, নিজের পরিবার, প্রতিবেশী বা পরিচিত কেউ যদি মারা গিয়ে থাকেন, তার পরও যদি সেই ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় থাকে, সেক্ষেত্রেও অভিযোগ জানানো যাবে। SIR-এ এই প্রথম বাদ যাওয়া নামের পাশে, কারণের উল্লেখ করল নির্বাচন কমিশন। বিহারে SIR-এর সময় বাদ পড়া নামের পাশে, নাম বাদ দেওয়ার কারণ লেখা ছিল না। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই প্রথম বার নাম বাদ দেওয়ার কারণ উল্লেখ করল নির্বাচন কমিশন। 

Continues below advertisement

এদিন কমিশন যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ৫৮ লক্ষ ২০ হাজার ৮৯৮ জনের নাম বাদ গিয়েছে। খসড়া তালিকায় নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা ১২ লক্ষ ২০ হাজার ৩৮। খসড়া তালিকায় মৃত ভোটার ২৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৮৫২।  স্থানান্তরিত ভোটারের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৬। খসড়া তালিকায় ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩২৮। 

খসড়া তালিকায় নাম না থাকলে, অর্থাৎ বাদ যাওয়ার তালিকায় নাম থাকলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তালিকা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ জানানো যাবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হবে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি অবধি শুনানি এবং ভেরিফিকেশন চলবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে।

নির্বাচনের কমিশনের অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের খসড়া ভোটার তালিকা। voters.eci.gov.in এই ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই মিলবে তালিকা। কমিশনের অ্যাপ ECINET-এও প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা। GOOGLE PLAY STORE বা APP স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে ECINET অ্যাপ।