এবার শুরু হবে খসড়া ভোটার তালিকার চুলচেরা বিশ্লেষণ। শুরু হবে শুনানি-পর্ব! যে খসড়া ভোটার তালিকা কমিশন প্রকাশ করেছে তা ম্যাপিং হয়েছে ৩ ভাগে। প্রোজেনি ম্যাপিং, সেল্ফ ম্যাপিং নো ম্যাপিং। নির্বাচন কমিশন সূত্রে দাবি, 'নো ম্যাপিং' অর্থাৎ যেসব ভোটার তার নিজের বা নিকটাত্মীয় কারও নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকা থেকে ম্যাচ করাতে পারেননি, এরকম প্রায় ৩০ লক্ষ ভোটার রয়েছে। তাদের সকলকেই শুনানিতে ডাকা হবে। কমিশন সূত্রে দাবি, ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ভোটারের দেওয়া তথ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে কাদের শুনানিতে ডাকা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। এখন এই নিয়েই মানুষের মনে নানা প্রশ্ন। তারই উত্তর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
- SIR-এ খসড়া ভোটার তালিকায় নাম ওঠেনি। এবার কী করব? নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, FORM 6 ফিলআপ করতে হবে। সঙ্গে annexure 4 জমা দিতে হবে।
- কবে থেকে শুনানি শুরু হবে? নির্বাচন কমিশনের উত্তর হল, নির্দিষ্ট দিন এখনও ঠিক হয়নি। সাতদিন পর থেকে হতে পারে। খুব শিগগিরই নোটিস দেওয়া শুরু হবে।
- শুনানির জন্য় কোথায় যেতে হবে? নির্বাচন কমিশনের উত্তর , ERO-র সই করা নোটিস BLO পৌঁছে দেবেন। সেখানে শুনানির নির্দিষ্ট দিন, নির্দিষ্ট সময় ও নির্দিষ্ট স্থান লেখা থাকবে।
- ছেলে-মেয়ে বাইরে থাকলে, তাদের হয়ে কি মা-বাবা শুনানিতে যেতে পারবেন? নির্বাচন কমিশনের উত্তর, হ্য়াঁ, ছেলে-মেয়ের হয়ে মা-বাবা শুনানিতে যেতে পারবেন। এই বিষয়টা নিয়ে নির্বাচন কমিশন SOP তৈরি করবে। ৫. অসুস্থতা বা অন্য় কোনও কারণে নির্ধারিত দিনে শুনানিতে যেতে না পারলে, অন্য় দিন যাওয়ার সুযোগ কি পাওয়া যাবে? তার জন্য় কীভাবে আবেদেন করতে হবে? নির্বাচন কমিশনের উত্তর , এনিয়ে ERO-র কাছে আবেদন জানাতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, প্রোজেনি ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে, মা-বাবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বয়সের ফারাক ১৫ বছরেরও কম, এরকম ভোটারের সংখ্যা ১০ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯৮১। আবার মা-বাবার সঙ্গে বয়সের ফারাক ৫০ বছরের বেশি, এমন ভোটারের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৭৫। দাদু ঠাকুমার সঙ্গে ভোটারের বয়সের পার্থক্য ৪০ বছরেরও কম, এমন ভোটারের সংখ্যা রয়েছে ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৮১১। এখন এদের মধ্যে কাদের শুনানিতে ডাকা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা ERO।