কলকাতা: SIR-এর দরুণ রাজ্যে আরও ৪ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গেল ভোটার তালিকা থেকে। সোমবার পর্যন্ত ১০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছিল। সেই সংখ্যা বেড়ে হল প্রায় ১৪ লক্ষ। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এই হিসেবই সামনে এল নির্বাচন কমিশন সূত্রে। SIR-এ পশ্চিমবঙ্গের কত সংখ্যক নাম যেতে পারে, তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। রাজনীতিকদের কেউ কেউ নিজের মতো করে সংখ্যা পেশ করছেন। সেই আবহেই ১৪ লক্ষের হিসেব মিলেছে এখনও পর্যন্ত। (SIR in West Bengal)

Continues below advertisement


বিহারের পর ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন অর্থাৎ SIR শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের সোমবার জানা যায়, SIR করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১০ লক্ষের নাম বাদ গিয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সেই সংখ্যা আরও ৪ লক্ষ বৃদ্ধি পেল। কমিশন সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৩ লক্ষ ৯২ হাজার নাম বাদ গিয়েছে। (SIR in Bengal)


কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের মধ্যে এখনও পর্যন্ত শতাংশের বিচারে সব চেয়ে বেশি নাম বাদ পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায়। এ ছাড়াও নাম বাদ যাওয়ার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। গতকাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ১২৯টি এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়েছে। শতাংশের নিরিখে ফর্ম বিলি হয়েছে ৯৯.৭৭ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছে ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৬২৬, শতাংশের নিরিখে যা ৭০.১৪ শতাংশ। SIR প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। 


পশ্চিমবঙ্গে SIR-এ কত নাম বাদ যেতে পারে, সেই নিয়ে এখনও পর্যন্ত নানা দাবি শোনা গিয়েছে। বিশেষ করে বিজেপি-র তরফে নানা সংখ্যা পেশ করা হয়েছে। কেউ দাবি করেছেন, রাজ্যে ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে। কেউ আবার ১ কোটি ২০ লক্ষ নাম বাদ যেতে পারে বলে দাবি করেন। তবে কমিশনের তথ্য বলছে এখনও পর্যন্ত ১৪ লক্ষের নাম বাদ গিয়েছে।


বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পরই বাংলার দিকে লক্ষ্য স্থির বিজেপি-র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খোদ জানান, এবার তাঁদের 'টার্গেট' পশ্চিমবঙ্গ। সেই নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেছে। গতকালই মতুয়াগড় থেকে বিজেপি-কে 'হ্যাংলা' বলে কটাক্ষ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ থাকা উচিত, বিজেপি-র কমিশন হিসেবে কাজ করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, "এত লোভ কেন? বিহারেও অনুপ্রবেশ বলেছিলেন। ওখানে আপনাদের গেম ধরতে পারেনি বেচারারা। আমরা তো অভ্যস্ত। তাই আমাদের সঙ্গে পারা মুশকিল। কেউ লোভী হলে আমরা ছোটবেলায় বলতাম, কী হ্যাংলা দেখ! বাংলা দখলের এত লোভ কেন?" অন্য দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা কটাক্ষ ছোড়েন। আগে মমতা নন্দীগ্রামে জিতে দেখান বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।