অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: শুরু হল ষষ্ঠবর্ষ বক্সা বার্ড ফেস্টিভ্যাল (Bird Festival)। আলিপুরদুয়ার জেলার রাজাভাতখাওয়া প্রকৃতি বিক্ষণ কেন্দ্রে এই ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করলেন হস্তি বিশেষজ্ঞ পার্বতী বড়ুয়া। উপস্থিত ছিলেন বন দফতরের উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ। 


বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উদ্যোগে এই ষষ্ঠবর্ষ বার্ড ফেস্টিভ্যাল চলবে ৬ জানুয়ারি থেকে ৯ ই জানুয়ারি পর্যন্ত। এই ফেস্টিভ্যালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাখি বিশেষজ্ঞসহ অংশগ্রহন করেছেন ২২ জন পর্যবেক্ষক। বন দফতর সূত্র খবর, রাজাভাতখাওয়া প্রকৃতি বিক্ষণ কেন্দ্রকে স্থায়ী করে প্রতিদিন অংশগ্রহনকারিরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে প্রায় ৬ টি স্থানে পাখি পর্যবেক্ষনের সুবিধা গ্রহন করবে। সকাল ৬ টা থেকে শুরু করে চলবে বিকেল পর্যন্ত। মাঝে মধ্যাহ্নের বিরতি। এরপর সন্ধ্যায় থাকছে টেকনিক্যাল সেশন। সংরক্ষন এবং সচেতনতা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আলোচনা। এভাবেই চলবে ৯-ই জানুয়ারি পর্যন্ত। জঙ্গলের মাঝে টেন্ট করে রাত্রি যাপনের ব্যাবস্থা থাকছে অংশগ্রহনকারি পাখি পর্যবেক্ষকদের। বনদফতর সূত্রে খবর, এই মুহুর্তে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে প্রায় চারশোর বেশি পাখির তালিকা রয়েছে। যা আরো বাড়বে বলেই আশাবাদি তারা। পাশাপাশি পাখি সংরক্ষন এবং সচেতনতাও বৃদ্ধিপাবে বলে ধারনা বক্সা বন দফতর কর্তৃপক্ষের। 


প্রথমবার এই বার্ড ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহন করে আপ্লুত পাখি বিশেষজ্ঞ তথা জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ায় রিসার্চ এসোসিয়েট ডঃ অমিতাভ মজুমদার। তিনি সারা ভারতের ১৩৩১-টি পাখির বৈশিষ্ঠ্য নিয়ে বই লিখলেও ডুয়ার্সের বক্সায় তার এবারই প্রথম। ফলে হিমালয়ের পাদদেশে এই জীব-বৈচিত্রের মাঝে দূর্লভ কিছু পাখির সন্ধান পাবেন বলেই আশাবাদি তিনি। একইভাবে আশাবাদী প্রতি বছর অংশগ্রহনকারী অপর এক পরিবেশ কর্মী তথা পাখি বিশেষজ্ঞ অনিমেশ বসু। তিনি বলেন, জীব-বৈচিত্র্যে ভরা বক্সায় প্রতিবারই নতুন করে তালিকাভূক্ত হয় ২/১ টি পাখি। তবে শুধু পাখি দেখা বা চেনা নয়, সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। সেই বার্তাটাই যাতে যায় সেটাই মূল লক্ষ।


মত্ত প্রধান শিক্ষক, তালা স্কুলে


প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় স্কুলে আসার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবারই হুগলির আরামবাগের ডিহালপাড়া প্রাইমারি স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেন অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষক অরুণকুমার সিংহকে। শুক্রবার সকালও স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখেন অভিভাবকরা।