কলকাতা: সংসদে স্মোককাণ্ডের (Smoke Cannister Incident) মাষ্টারমাইন্ড ললিত ঝা-এর সঙ্গে এমনিতেই বং কানেকশন প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীদের নিশানায় শাসকদল (TMC)। তার উপর তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের ছবি দেখিয়ে ইতিমধ্য়েই সরব রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন ললিত ঝা কি তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় ঘনিষ্ঠ ? আর এবার 'যুব তৃণমূলের পদাধিকারী' বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


এই ব্যাপারে দিল্লি পুলিশকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করেছেন বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ললিতের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ করতে একাধিক ছবি সামনে এনেছে বিজেপি। সংসদের নিরাপত্তা ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর ছক। পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।ওদিকে, সংসদে তাণ্ডব কাণ্ডে ধৃত ললিত ঝা-কে জেরায় উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। হয় 'প্ল্যান এ' নয় 'প্ল্যান বি', রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে সংসদে তাণ্ডবে নেমেছিলেন স্মোক-কাণ্ডের হামলাকারীরা ! সংসদে অশান্তির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-কে জেরায় এমনই বিস্ফোরক তথ্য মিলেছে বলে দাবি করল পুলিশ।


তদন্তকারীদের দাবি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে সহযোগীদের মোবাইল ফোন পুড়িয়ে দিয়েছিলেন ধৃত মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা ! ২০০১ সালের সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনেই বুধবার, ফের আতঙ্কের সাক্ষী থেকেছে দেশের আইনসভা। লোকসভার ভিতরে দর্শক হিসেবে ঢুকে নিরস্র হলেও, কালার স্মোক স্প্রে করে হুলস্থুল বাধিয়ে দেয় দুই যুবক। বাইরে আরও এক যুবক ও এক তরুণী। মুখে ছিল -  'ভারত মাতা কী জয়' স্লোগান।


পুলিশ যখন তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে, তখন সংসদে অশান্তির ঘটনায় মূল চক্রী নিজেই এসে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ললিত ঝাকে জেরায় জানা গেছে, সাংসদের সই করা পাস থাকায় লোকসভার ভিতরে তাণ্ডবের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি-কে। অমল শিন্ডে ও নীলম দেবীর দায়িত্ব ছিল সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর। তাঁরা ব্যর্থ হলে ময়দানে নামতেন কৈলাস, মহেশ।


আরও পড়ুন, পেট্রোলের দরে হেরফের, দাম কমল আগ্রা-সহ একাধিক শহরে, কলকাতায় কত ?


পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করার পর সেখান থেকেই পালিয়েছিল সংসদ হানায় অন্যতম অভিযুক্ত ললিত ঝা। দিল্লি থেকে বাসে করে পৌঁছে যায় রাজস্থানের নাগৌরে। সেখানে ২ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন ললিত। রাতে সেখানকারই একটি হোটেলে ছিলেন। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশ তাঁকে খুঁজছে বুঝতে পেরে এরপর বাসে করে নিজেই ফিরে আসে দিল্লিতে। পুলিশ সূত্রে দাবি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে সহযোগী মনোরঞ্জন ডি, সাগর শর্মা, অমল শিন্ডে ও নীলম দেবী,এই চারজনেরই ফোন রাজস্থানে পুড়িয়ে দেয় ললিত।