কলকাতা: সংসদে স্মোক-ক্যান কাণ্ডে (Smoke Cannister Incident) ধৃতদের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। 'হামলাকারীদের হাতিয়ার ছিল সংসদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পুরনো ভিডিও' , গুগল সার্চ করে রেকি করেছিল হামলাকারীরা, পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সিগন্যাল অ্যাপে চ্যাট! খবর সূত্রের।
সংসদে তাণ্ডব কাণ্ডে ধৃত ললিত ঝা-কে জেরায় বিস্ফোরক তথ্য
সংসদে তাণ্ডব কাণ্ডে ধৃত ললিত ঝা-কে জেরায় উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। হয় 'প্ল্যান এ' নয় 'প্ল্যান বি', রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে সংসদে তাণ্ডবে নেমেছিলেন স্মোক-কাণ্ডের হামলাকারীরা ! সংসদে অশান্তির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-কে জেরায় এমনই বিস্ফোরক তথ্য মিলেছে বলে দাবি করল পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে সহযোগীদের মোবাইল ফোন পুড়িয়ে দিয়েছিলেন ধৃত মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা ! ২০০১ সালের সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনেই বুধবার, ফের আতঙ্কের সাক্ষী থেকেছে দেশের আইনসভা। লোকসভার ভিতরে দর্শক হিসেবে ঢুকে নিরস্র হলেও, কালার স্মোক স্প্রে করে হুলস্থুল বাধিয়ে দেয় দুই যুবক। বাইরে আরও এক যুবক ও এক তরুণী। মুখে ছিল - 'ভারত মাতা কী জয়' স্লোগান।
মূল চক্রী নিজেই এসে থানায় আত্মসমর্পণ করেন
পুলিশ যখন তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে, তখন সংসদে অশান্তির ঘটনায় মূল চক্রী নিজেই এসে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ললিত ঝাকে জেরায় জানা গেছে, সাংসদের সই করা পাস থাকায় লোকসভার ভিতরে তাণ্ডবের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি-কে। অমল শিন্ডে ও নীলম দেবীর দায়িত্ব ছিল সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর। তাঁরা ব্যর্থ হলে ময়দানে নামতেন কৈলাস, মহেশ।
আরও পড়ুন, 'আমার ছেলে নির্দোষ, কোচিংয়ে পড়ায়..', দাবি সংসদকাণ্ডে ধৃত ললিতের মা-বাবার
সংসদ হানায় অন্যতম অভিযুক্ত ললিত ঝা
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করার পর সেখান থেকেই পালিয়েছিল সংসদ হানায় অন্যতম অভিযুক্ত ললিত ঝা। দিল্লি থেকে বাসে করে পৌঁছে যায় রাজস্থানের নাগৌরে। সেখানে ২ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন ললিত। রাতে সেখানকারই একটি হোটেলে ছিলেন। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশ তাঁকে খুঁজছে বুঝতে পেরে এরপর বাসে করে নিজেই ফিরে আসে দিল্লিতে। পুলিশ সূত্রে দাবি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে সহযোগী মনোরঞ্জন ডি, সাগর শর্মা, অমল শিন্ডে ও নীলম দেবী,এই চারজনেরই ফোন রাজস্থানে পুড়িয়ে দেয় ললিত।