রঞ্জিৎ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অনলাইন বুকিং অ্যাপের (online booking app) সাহায্যে হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ (bag) উদ্ধার করল সোনারপুর থানার পুলিশ (sonarpur police)। গুরুত্বপূর্ণ নথিভর্তি ব্যাগটি ফেরত পেয়ে যারপরনাই স্বস্তিতে সোনারপুরের গোড়খারার বাসিন্দা সায়ন্তনী মিত্র। পুলিশের তৎপরতায় মুগ্ধ স্থানীয়দের অনেকেই।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, সোনারপুরের গোড়খারার বাসিন্দা সায়ন্তনী হালে নরেন্দ্রপুরের একটি শপিং মলে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভুলক্রমে প্রেক্ষাগৃহের আসনেই ব্যাগ ফেলে চলে আসেন। ব্যাগটির মধ্যে তাঁর অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু নথিপত্র ছিল। নীচে নেমে সে কথা মনে পড়লেও ফিরে এসে দেখেন ব্যাগ নেই। এর পরই নরেন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হন সায়ন্তনী। পরে সোনারপুর থানার কাছে যান। জানা যায়, প্রেক্ষাগৃহে সায়ন্তনীর আশপাশে যাঁরা বসেছিলেন তাঁরা সকলেই একটি অনলাইন অ্যাপের সাহায্যে টিকিট বুক করেছিলেন। সেই অ্যাপের সাহায্যেই খোঁজ মেলে ব্যাগের। পুলিশ জানতে পারে, যুবতীর পাশের আসনে বসা এক দর্শক ব্যাগটি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর বাড়ি গড়িয়ায়। তাঁকে ধরেই খোয়া যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার করে সায়ন্তনীর হাতে তুলে দেয় সোনারপুর থানার পুলিশ। প্রশাসনের সহযোগিতার আপাতত হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন তিনি। এর আগে রাজ্যের নানা প্রান্তে বাইক চুরি রুখতে নজরে পড়েছিল পুলিশি তৎপরতা।


চুরি রুখতে পুলিশি তৎপরতা...
গত জুলাইয়ে যেমন মোটরবাইক চুরি চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছিল লেকটাউন থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছিল ৫টি বাইক। সব মিলিয়ে ওই পর্বে গত পাঁচদিনে ৬টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়। ২৩ জুন, লেকটাউনের জয়া সিনেমা হলের সামনে একটি বাইক চুরি যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাইক চুরি চক্রের তিন পাণ্ডাকে চিহ্নিত করে পুলিশ। ১ জুলাই সৌরভ ঘোষ ও গতকাল অভিজিৎ কাহার নামে চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাইক চুরি করে ভিনরাজ্যে পাচার করা হত বলে পুলিশের দাবি। আর কারা এই চক্রে জড়িত তারও খোঁজ শুরু হয়। জুলাইয়ের শেষে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় একটি ঘটনা ঘটে। সেই সময় বাইক চুরির একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছিল খড়্গপুর লোকাল থানায়। কে কী ভাবে বিষয়টি করছে, জানতে তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। সেই সূত্রেই কয়েক দিন আগে হাতেনাতে ধরা পড়ে শেখ মতি। পুলিশের দাবি, তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি চুরি যাওয়া বাইকের হদিস পাওয়া গিয়েছিল। তার পর গত রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২৭টি বাইক উদ্ধার করা হয় বলে জানায় খড়্গপুর লোকাল থানা। সবকটিই চুরি যাওয়া বাইক। কী ভাবে এই বাইকগুলি তাদের আসল মালিকের কাছে পৌঁছনো হবে, সে দিকটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় এত দিন ধরে এই কাজ চলল কী করে? বাইক উদ্ধারের পরও সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠেছিল। তার পর আবার সেপ্টেম্বরে ডানকুনি থানা এলাকায় এক ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় ওই এলাকায় বাইক চুরির ঘটনা ঘটছিল। দিল্লি রোড, বা দুর্গাপুর রোডে রাস্তার ধারে রাখা বাইকগুলিই বেশি চুরি হচ্ছিল। স্থানীয়  থানায় বেশ অনেকগুলি বাইক চুরির অভিযোগও জমা পড়ে।  তদন্তে নেমে পুলিশ হাওড়া ডোমজুড় এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে সেই সঙ্গে। সেই সঙ্গে তাদের থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া দশটি বাইক। 


আরও পড়ুন:ব্রিটিশ হোক বা পর্তুগিজ! ফরাসি থেকে ডাচ-ঔপনেবেশিক ইতিহাসের জীবন্ত দলিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে হুগলিতে