ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: আজ মহাষ্টমী (Mahaashtami) ৷ সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় কুমারী পুজো (Kumari Pujo) ৷ মণ্ডপে মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, মাইকে স্তোত্রপাঠ ৷ তাই শুনে শুনেই কারও বা মনে মনেই অঞ্জলি দেওয়া৷ 


এ বছর দুর্গাপুজো পুজোয় কলকাতায় রয়েছেন BCCI সভাপতি ও প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অষ্টমীর সকালে তাঁকে পাওয়া গেল পাড়ার পুজো বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারের মণ্ডপে৷ দিলেন অঞ্জলি। সৌরভের সঙ্গে ছিলেন দাদা স্নেহাশিসও। 


দুপুর পেরোলেই সন্ধিপুজো। অষ্টমী পেরিয়ে নবমীতে প্রবেশ।  হাতে আর মাত্র ২দিন৷ তাই উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম-সর্বত্রই উত্সবের আনন্দের ঢেউয়ে গা ভাসাতে তৈরি সবাই।  বেলা বাড়তেই সঙ্গে সঙ্গেই মণ্ডপে মণ্ডপে বাড়বে রঙিন জামা-কাপড়ে সাজা মানুষের ভিড়।  বড়দের হাত ধরে ভিড়ের মাঝে কচি-কাঁচারাও৷ শুধু তো ঠাকুর দেখা নয় সঙ্গে দেদার আড্ডা, খাওয়া দাওয়া৷ নবমী নিশি ফুরোলেই তো পুজো শেষ। তাই মন খারাপ করা নবমীর আগে উত্‍‍সবের সুরে ভাসতে তৈরি তিলোত্তমা৷                 


প্রসঙ্গত, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তুমুল ব্যস্ততা। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরপর সিরিজ। আয়োজনের সব দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। পুজোয় আর পাঁচজন বাঙালির মতোই ঠাকুর দেখতে, খাওয়াদাওয়া করতে ভালবাসেন তিনি। আর ভালবাসেন ঢাকের বোল, ধুনুচি নাচ। পড়াশোনার জন্য সানা ইংল্যান্ডে। মেয়ে না থাকায় মন খারাপ তাঁর। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়(Sourav Ganguly)। সদ্য পঞ্চাশ পূর্ণ করেছেন। এবার দাদার পাড়ার পুজোরও সুবর্ণ জয়ন্তী। যদিও পাড়ার নয়, বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারের পুজোকে দাদা বাড়ির পুজোই মনে করে থাকেন।                                                                                                     


আরও পড়ুন, আমি ভাগ্যবান তাই এত মানুষ ভালবাসেন, ঢাক বাজলেই মনে হয় পুজো: সৌরভ


সম্প্রতি এবিপি আনন্দের ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম এবিপি লাইভকে একটি সাক্ষাৎকারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সব বাঙালির কাছেই দুর্গাপুজো স্পেশ্যাল। আমাদের বাড়ির পাশের পুজোর এবার পঞ্চাশ বছর।  আমার জন্ম থেকে এই পুজো। পুজো সমস্ত বাঙালির মতোই আমার কাছেই খুব আনন্দের।