জয়দীপ হালদার, বকখালি (দক্ষিণ ২৪ পরগণা): বকখালির সমুদ্র তটে দেখা মিলল বিশাল আকৃতির ডলফিনের। রবিবার ভোররাতে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা যখন নদীতে মাছ ধরতে যায় তখনই এই বিশাল আকৃতির ডলফিনকে দেখতে পায় তারা।  বকখালির সমুদ্রসৈকতে ডলফিনটিকে সকাল থেকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। 


প্রায় কুড়ি ফুটের চেয়েও বড় এই ডলফিনের আকৃতি। বিশালাকৃতি ডলফিনটিকে দেখতে পেয়ে ভিড় জমান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় এলাকার মানুষ বকখালি বন দফতরে এ খবর দেয়।পরে বনদফতরের কর্মীরা খবর পেয়ে মৃত ডলফিনটিকে উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান  কোন জাহাজের ধাক্কায় আঘাত খেয়ে  বকখালি উপকূলে উঠে পড়ে ডলফিনটি। এত বড় ডলফিন আগে কখনও ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।


এদিকে কিছুদিন আগে বিরল প্রজাতির ডলফিন ধরার অভিযোগে কোচবিহারে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। বন দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় জেলে আক্কাস আলি শেখ প্রায় ২৫ কেজি ওজনের একটি ডলফিন শিকার করে তা ৬৫০০ টাকায় বিক্রি করে সমীর শেখ নামে এক ব্যক্তির কাছে। সমীর সেই ডলফিনের মাংস কেটে তা বিক্রির উদ্দেশ্যে বাড়িতে রেখেছিল। খবর পায় বন দফতর।   


 ডলফিন স্তন্যপায়ী প্রজাতির বন্য সংরক্ষণ আইনে সিডিউল ১, পার্ট ১ সংরক্ষিত প্রাণী। যেমনটা- বাঘ বা হাতির ক্ষেত্রে আইন রয়েছে, একই আইন প্রযোজ্য ডলফিনের ক্ষেত্রেও। তাই ডলফিন ধরা, মারা একেবারেই নিষিদ্ধ। ডলফিন ধরার ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে অথবা হতে পারে ২৫ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।


বর্ষায় এদের বেশি দেখা যায়। তবে অনেকসময় সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা কিঙ্গাব জাহাজের আঘাতে প্রায়শই মৃত্যু হয় ডলফিনের। মৎসজীবীরা জানান এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। তবে এত বড় বিশালাকৃতি ডলফিন কীভাবে পাড়ে এসে উঠল তা নিয়ে নানা মত থাকছে।