বিষ্ণুপুর (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : বাংলাদেশি সন্দেহে ফের বাংলার এক শ্রমিককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। দঃ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের শ্রমিক তিনি। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এরপর 'এক ডাকে অভিষেক'-এ ফোন করে নিজের অবস্থার কথা জানান ওই শ্রমিক। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দিলীপ মণ্ডলের উদ্যোগে অবশেষে বাড়ি ফিরেছেন শ্রমিক।
ওই শ্রমিক বলেন, "বাংলায় কথা বললে মারধর করত। বাইরে বের হতে পারতাম না। কোম্পানির মালিকও চলে গিয়েছিলেন। ওইজন্য আমরা আসতে পারছিলাম না। আমরা বাংলায় কথা বলছি, আমরা বাঙালি...এটাই আমাদের সবথেকে বড়...ওরা থানায় নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা মারধর করত। 'এক ডাকে অভিষেক'-এ কল করেছিলাম। কল করতে ওরা বলল..দেখছি। তারপর দাদা একদিন ফোন করলেন, বললেন... চিন্তা করিস না, দেখছি। ওইদিনই রাতে দাদা আমাকে ফোন করলেন। খাবার খরচ পাঠালেন। হুড়োহুড়ি করে আমি তো ট্রেনের টিকিটও কাটতে পারিনি। ওই অবস্থায় কোনওভাবে বিনা টিকিটে চলে এসেছি।" এ প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল বিধায়ক দিলীপ মণ্ডল বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) উনি ফোন করেছিলেন। তারপরে অফিস থেকে আমার মোবাইলের সঙ্গে সব কিছু দিয়ে দেওয়া হয়। তারপরে আমি আমাদের জেলা পরিষদের সদস্যকে বলি, এটা দেখে কথাবার্তা বলতে। যা যা করণীয় সহযোগিতা করে দেওয়া হবে। সেইমতোই কথা বলে জেলা পরিষদের সদস্য ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওঁকে সহযোগিতা করা হয়েছিল।"
দিনকয়েক আগেই মুম্বইয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন আরও এক পরিযায়ী শ্রমিক। ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় বীরভূমের নলহাটির ওই শ্রমিকের ২টি কানই কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ২৫ বছরের রাহুল সিংহ। ৮ মাস আগে মুম্বইয়ের মালাডে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান নলহাটির যুবক। তাঁর অভিযোগ, ঠিকাদারকে ১০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। বাড়ি আসার সময় সেই টাকা ফেরত চাইতেই তাঁর ওপর ব্লেড নিয়ে হামলা চালান ঠিকাদার ও তাঁর সঙ্গীরা। কেটে নেওয়া হয় ২টি কান। গুরুতর জখম অবস্থায় কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বাড়ি ফিরে আসেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক। নলহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
অভিযোগ, পাওনা টাকা চেয়েছিলেন ঠিকাদারের কাছে। এটাই ছিল তাঁর ‘অপরাধ’। তা নিয়ে গোলমালের জেরে বীরভূমের এক পরিযায়ী শ্রমিকের উপরে ব্লেড দিয়ে হামলা হয়েছে।