গৌতম মণ্ডল, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam Case) সিবিআই-ইডি তদন্তের (CBI and Enforcement Directorate Investigation) মাঝেই ভুয়ো নিয়োগপত্র (Fake Appointement Letter) দেখিয়ে স্কুলে চাকরির চেষ্টা ! ভুয়ো নিয়োগপত্র দেখিয়ে স্কুলে যোগ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। বাসন্তী, সোনারপুর, পাথরপ্রতিমার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে। এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের পরিবারের দাবি, তারা প্রতারণাচক্রের শিকার। 


২০০৯ সালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে  লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরে প্যানেল তৈরি হয়। দীর্ঘ টালবাহানার পর গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১৫০৬ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্কুলে ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু, এরই মধ্যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন চার জন চাকরিপ্রার্থী। এই চার জনের মধ্যে বাসন্তী চক্রে আছে দুই জন, সোনারপুরে একজন এবং পাথরপ্রতিমা চক্রে একজন। 


গত ১৬ তারিখে স্থানীয় এক বাসিন্দা জনৈক দেবাশিস দাস একটি নিয়োগপত্র নিয়ে পাথরপ্রতিমায় মহেশপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিতে যান। কিন্তু, তাতে সন্দেহ হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের। কারণ, ইতিমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক স্কুল পরিদর্শকের কাছ থেকে ডুপ্লিকেট নিয়োগপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। নিয়োগটি ভুয়ো বলে জানানো হয় তাঁকে। এরপর দেবাশিস দাস সেখান থেকে চলে যান।


এরপর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত রায় জানান, এই চারটি ঘটনা সামনে আসার পর তাঁরা স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চলেছে তারা। 


পাথরপ্রতিমার চাকরিপ্রার্থীর বাবা-মায়ের দাবি, তাঁদের ছেলে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। 


এদিকে টেটে ফেল করেও ৬ বছর ধরে চাকরির জন্য অবশেষে চাকরি গেছে ৯৪ জন অযোগ্য 'শিক্ষকে'র । নিজেদের নিয়োগপত্র নিজেরাই বাতিল করে পর্ষদ । সূত্রের খবর, অযোগ্যদের তালিকা হাইকোর্টে জমা দিয়েছিল সিবিআই।হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ।


রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে, রাজ্যের বিভিন্ন যে বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদ আছে, তাদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, ২০১৬ সালে নিয়োগপত্র পাওয়া ৯৪ জন শিক্ষক, যাঁরা গত ছয় বছর ধরে চাকরি করছিলেন, তাঁদের নিয়োগপত্র বাতিল করতে হবে। সেই নির্দেশ পৌঁছে গেছে DPSC-র চেয়ারম্যানদের কাছে।