পার্থপ্রতিম ঘোষ এবং শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গোসাবায় বাঘ ধরতে নতুন কৌশল বন দফতরের। বাঘিনীর গর্জন শুনিয়ে খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা বাঘকে বন দফতরের কর্মীরা হ্যান্ড মাইকে বাঘিনীর গর্জন শোনাচ্ছেন। বাঘিনীর গর্জনে সাড়া দিয়ে বাঘ ধরা দেবে, আশায় বনকর্মীরা। 


বার বার অবস্থান বদল করছে রয়্যাল বেঙ্গল। সমস্যায় পড়েছেন বনকর্মীরা। বাঘবন্দি করতে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে জঙ্গল। মাইকে শোনানো হচ্ছে বাঘিনীর গর্জন। ধরা পড়লে ভাল, না হলে জঙ্গলে যাতে বাঘ ফিরে যায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।পাতা হয়েছে একের পর এক খাঁচা। খাঁচাবন্দি করতে শোনানো হচ্ছে বাঘিনীর গর্জন। ফাটানো হচ্ছে পটকা। ডবল নেটের ফেন্সিং দিয়ে ঘেরা হয়েছে জঙ্গল। গতিবিধি বুঝতে স্পিডবোটে চলছে নজরদারি। বাঘ তাড়াতে গিয়ে রক্তাক্ত হলেন বনকর্মী। শুক্রবার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় এভাবেই নাকানিচোবানি খাওয়াচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল। ২ দিন ধরে চলছে বাঘবন্দি করার চেষ্টা।


কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার কারণ হল, বাঘের গতিবিধি। বনকর্মীদের বক্তব্য, যে বাঘ শুক্রবার দেখা দিয়েছিল গোসাবার লাহিড়িপুরে, শনিবার তার হদিশ মিলেছে পাশের অঞ্চল সাতজেলিয়ায়। একদিনে প্রায় ৪ কিলোমিটার ঘুরে বেড়িয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল। শনিবার সকালে সাতজেলিয়ার চার নম্বর মিত্রবাড়ির জঙ্গলের কাছে দেখা যায় পায়ের ছাপ।


বনকর্মীদের অনুমান, এই জঙ্গলে আপাতত ডেরা বেঁধেছে বাঘ। তাই কৌশল বদলানো হয়। বন দফতর সূত্রে খবর, বাঘ ধরতে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছে। পাশাপাশি, গাড়াল নদীর ওপারে ঝিলার জঙ্গলে বাঘটি যাতে ফিরে যায় সেই চেষ্টাও চলছে। গোসাবার বিডিও বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, "বন দফতর এলাকা নেট দিয়ে কভার করছে। সবাই মিলে আছি। বন দফতর নিরাপত্তা দিচ্ছে যাতে বাঘ না ঢোকে।।" 


সজনেখালি রেঞ্জ এর রেঞ্জার বিশ্বজিৎ দাস বলেন,"চেষ্টা করছি যাতে জঙ্গলের দিকে চলে যায়, যাতে নদীপথে চলে যায়, খাঁচাতে ধরা না পড়লে দফতরের সঙ্গে কথা বলে ঘুমপাড়ানি গুলির ব্যবহার হবে।" গোসাবায় বাঘ ধরতে নতুন কৌশল নিল বন দফতর। হ্যান্ড মাইকে বাঘিনীর গর্জন শুনিয়ে খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা চলছে রয়্যাল বেঙ্গলকে। নিভিয়ে রাখা হয়েছে আলো। কয়েক দিন আগে কুলতলিতে অনেকটা এভাবেই জায়গা বদল করেছিল রয়্যাল বেঙ্গল। গোসাবার বাঘের দ্রুত অবস্থান বদল নিয়ে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের।