জয়ন্ত রায়, মহেশতলা : দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় ভাইকে গুলি করার অভিযোগে দাদাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, ভাইকে অস্ত্র দেখাতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত গুলি চলে বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত। পরিবারেরও দাবি, দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ ছিল না।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার কলাগাছিয়ায় গুলির ঘটনায় নতুন মোড়। ভাইকে গুলি করার অভিযোগে আক্রান্তের দাদাকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। তাহলে কি ভাইয়ে ভাইয়ে বিবাদের কারণেই গুলি চলল ? 


যদিও সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে আক্রান্তের পরিবার। শনিবার সকালে কলাগাছিয়ায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পেশায় গাড়িচালক সুরজ রায়কে। আক্রান্তের পরিবার দাবি করে, আগের দিন রাতে কেউ বা কারা সুরজকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।


অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। এরইমধ্যে গুলিবিদ্ধ যুবকের দাদার ভূমিকায় সন্দেহপ্রকাশ করে পুলিশে অভিযোগ জানান সুরজেরই এক বন্ধু। এরপরই গুলিবিদ্ধের দাদা সুরজিত্‍ রায়কে আটক করে পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।


পুলিশ সূত্রে দাবি, গুলিবিদ্ধের দাদা জানান, বছর দুয়েক আগে এক বন্ধু তাঁকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে দেন। শনিবার রাতে ভাইকে সেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখাতে গিয়েই অসাবধানতায় গুলি চলে যায়।


যদিও অভিযুক্তর মায়ের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্রর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। গুলিবিদ্ধের মা সারদা দেবী বলেন, ওর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল কি না জানি না। কীভাবে অস্ত্র এল জানি না, আমিও খোঁজ নিচ্ছি জিনিসটা দিল কে ?


পাশাপাশি দুই ভাইয়ের মধ্যে কোনও বিবাদ ছিল না বলে দাবি করেছে পরিবার। ধৃতের স্ত্রী পল্লবী রায় বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে কখনও ঝামেলা দেখিনি। ওর কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই।


এখানেই প্রশ্ন উঠছে, ধৃতের বন্ধু কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি পেয়েছিলেন ? কেনই বা ধৃত যুবক সেই আগ্নেয়াস্ত্র নিজের কাছে রাখতে গেলেন ? আর এতদিন আগ্নেয়াস্ত্রটিই কোথায় রাখা ছিল ? গুলিবিদ্ধ যুবকই বা পুলিশকে প্রথমে একথা জানালেন না কেন, সেই প্রশ্নও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। 


গুলিবিদ্ধের দাদা সুরজিত্‍ রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর বয়ানও!!!