জয়দীপ হালদার, মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : সম্পত্তি নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও একজন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের মহিতলায়। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্পত্তি নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। অভিযোগ, গতকাল রাতে ফের দুই পরিবারের মধ্যে বচসা বাধে। সেখান থেকে হঠাৎ উত্তেজনা বেড়ে যায় । অভিযোগ, প্রতিবেশী আবুল কালাম শেখের সাথে ঝামেলা হয় এজাজুল ও সিরাজুল শেখের। ঘটনাস্থলে আবুল কালাম শেখ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় এজাজুলকে। ছাড়াতে যায় সিরাজুল । ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন তিনিও ।


এরপর দু'জনকে মগরাহাট প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে এজাজুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আরেক আক্রান্ত সিরাজুলকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আবুল কালাম শেখ ও হাফিজুল শেখ- দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


দিনকয়েক আগে মগরাহাটে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ার সহ দু’জনকে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কারখানা মালিক জানে আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


মগরাহাটের মাগুরপুকুরে একটি কারখানার ভিতর থেকে উদ্ধার হয়, সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী এবং তাঁর বন্ধু কাপড় ব্যবসায়ী মলয় মাখালের রক্তাক্ত মৃতদেহ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী আমড়াতলা পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। তাঁর বন্ধু নিহত বস্ত্র ব্যবসায়ী মলয় মাখালও তৃণমূলের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন বলে দাবি স্থানীয়দের।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মগরাহাটের মোহনপুরে সার-সহ একাধিক ব্যবসা আছে জানে আলমের। ১৫ বছর আগে বিভিন্ন জেলায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাকে। মগরাহাটের মোহনপুরে পারিবারিক ব্যবসা, বিরাট পৈত্রিক বাড়ি আছে ধৃত জানে আলমের। তাঁর এক ভাই মোহনপুরেই বড় ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা আছে। অন্য দুই ভাইয়ের পৈত্রিক মাছের ভেড়ির কাজকর্ম সামলান। সেজো ভাই মোহনপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান।