হিন্দোল দে, ভাঙড় : ফের ভাঙড়ে বোমা উদ্ধার । ভাঙড়ে আইএসএফ পঞ্চায়েত সদস্য আজহার মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বস্তা-ভর্তি বোমা । আজ সকালে খবর পেয়ে গ্রামে যায় কাশীপুর থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে। এদিকে ঘটনার পর আইএসএফ পঞ্চায়েত সদস্য পলাতক।


ভাঙড়ের চিত্রটা একেবারেই বদল হচ্ছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই যেভাবে গুলি, বোমা, খুনের ঘটনা...একের পর এক অস্ত্র উদ্ধার, সেই আবহ এখনও বজায় রয়েছে এলাকায়। কাশীপুর পুলিশ সূত্রের খবর, ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের চালতাবেড়িয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পানাপুকুরে আজহার মোল্লা নামে আইএসএফের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হয়েছে। একটি বস্তায় সেই বোমা রাখা ছিল। আজহার মোল্লার বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। আজহার মোল্লা এবং এখানকার আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আইএসএফ পরিকল্পনামাফিক এইসব অস্ত্র-বোমা মজুত রাখছে। এদিকে সকালে বোমা উদ্ধারের পর বাড়ি থেকে পলাতক আজহার মোল্লা। এখনও পর্যন্ত তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, এই বিপুল পরিমাণ বোমা কোথা যেতে এল। আজহার মোল্লা সেখানেই বোমা তৈরি করেন নাকি বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছে, নাকি কেউ সেখানে বোমা রেখে গিয়েছে ...সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে বেলাগাম সন্ত্রাসের ছবি দেখা গেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অশান্তি হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বোমা, গুলি, খুনোখুনি । বাদ যায়নি কিছুই। ভোট মিটলেও সেখানে অস্ত্রের আস্ফালন কমেনি।


সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলে। বাসন্তী থেকে বেঙ্গল এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হয় ৩ অস্ত্র ব্যবসায়ী। ধৃতরা বাসন্তীর তিতকুমার এলাকার বাসিন্দা। উদ্ধার করা হয়- ৩টি ওয়ান শটার পাইপগান, একটা লং ব্যারেল বন্দুক ও অস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম।


পুলিশের দাবি, ধৃত ইস্তাহার গায়েনের বাড়িতেই খোলা হয়েছিল অস্ত্র কারখানা। সেখানেই তৈরি হত অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। 


এদিকে দিনকয়েক আগে বগটুইকাণ্ডের আতঙ্ক ফেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে। কাকভোরে বাড়ির কাছেই গুলিতে ঝাঁঝরা হন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। পাল্টা ধাওয়া করে শ্যুটারকে পিটিয়ে মারে উন্মত্ত জনতা। ৫ কিলোমিটার দূরে দলুয়াখাকি গ্রামে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সিপিএম কর্মী, সমর্থকদের ১২-১৫টি বাড়ি। আগুন লাগানোর পাশাপাশি ভাঙচুর, লুঠপাট চালানো হয় একাধিক বাড়িতে। ফিরিয়ে দেওয়া হয় দমকলের গাড়ি। ছাড় পাননি শিশু, মহিলারা। পরে র‍্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে দমকলের গাড়ি পাঠানো হয়। সিপিএম কর্মী, সমর্থকদের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই ঘণ্টাচারেক ধরে এই তাণ্ডব চলে।