হিন্দোল দে, বিষ্ণুপুর (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : বিষ্ণুপুরে (Bishnupur) তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের বুথ সভাপতিকে গুলি করে খুন। আন্ধারমানিক গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথ সভাপতি সাধন মণ্ডলকে গুলি করে খুন দুষ্কৃতীরা। চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় তাঁর উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ৬ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। খুনের নেপথ্যে কী কারণ, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।


কী ঘটনা ?


স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে খবর, সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ডায়মন্ড হারবারের বিষ্ণুপুর থানায় অন্তর্গত আন্ধারমানিক গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৮ ও ২১৯ নম্বর বুথের সভাপতি সাধন মণ্ডল, তাঁর ভাইপো ও অন্যান্য বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বসে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় তিন জন দুষ্কৃতী বাইকে করে আসে। তারা বাইকটিকে দূরে দাঁড় করিয়ে রাখে। এরপর চায়ের দোকানে এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখায়। তা দেখে সাধারণ ক্রেতারা ভয়ে পালিয়ে যায়। তখনই সাধন মণ্ডলকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর ছয় থেকে সাত রাউন্ড গুলি করা হয় বলে তাঁর ভাইপো অভিযোগ করেছেন।  তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাধনবাবু। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয়।


গোটা ঘটনার নেপথ্যে কী রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর সঙ্গে রাজনৈতিক শত্রুতার কোনও বিষয় রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার জেরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় এলাকায় বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ঘটনা খতিয়ে দেখছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছেছেন তৃণমূল কর্মীরা।


এদিকে আসানসোল, গোয়ালপোখরের পর জগদ্দল। উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরে চলল গুলি !
তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে! অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি ! রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে জগদ্দল থানার পালঘাট রোডে। আক্রান্ত হয়েছেন, ভাটপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি অশোক সাউ। তিনি জানান, রোজকার মতো বাজারে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ২টি ছোড়ে ৪-৫ জন দুষ্কৃতী। তারপর ছোড়া হয় গুলি। মাটিতে বসে পড়ায় গুলি মাথায় লাগেনি।


আরও পড়ুন ; বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার শাসন থানার পুলিশের