গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Paragana) তৃণমূলে (TMC) ভাঙন। ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের টিকিট। আর সেই টাকা নিয়েছেন বিধায়ক। শুধু তাই নয় টিকিট পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে ৩ বছর ধরে সংগঠনের কাজ করিয়েছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তৃণমূল ছেড়ে আইএসএফে (ISF) যোগ দিলেন শতাধিক কর্মী, সমর্থক।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির কামারচক গ্রাম পঞ্চায়েতের চকতারাবৈদ্য গ্রামের ঘটনা। দলবদলের পরেই তৃণমূলের অঞ্চল অফিস দখল করে নেয় আইএসএফ। তাদের দাবি, তৃণমূল যে টাকার বিনিময়ে টিকিট দিচ্ছে, এটাই তার প্রমাণ। কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের পাল্টা দাবি, অভিযোগকারীরা একুশের বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই আইএসএফের সঙ্গে যুক্ত। সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত মেনেই তৃণমূলে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ISF প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়ার 'মাশুল' গুনতে হল সরকারি কর্মীকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের আইএসএফের সম্পাদক মনোনয়ন ফর্ম নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরই, বিডিও অফিসের কর্মীর ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের কর্মীরা। মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয় নাক।
এ প্রসঙ্গে ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি বলেন, 'প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে ভোটে লড়ার, কিন্তু শাসক চাইছে দ্বিতীয় আর কেউ না থাকুক'। পাশাপাশি ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের ভিতরে বসে প্রার্থীতালিকা তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এই প্রেক্ষাপটে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়ে শান্তির বার্তা তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। ভাঙড়ের মাঝেরহাট গ্রামে বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির পাড়ায় তৃণমূলের দেওয়াল দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরাবুল বার্তা দেন, মারপিটের দরকার নেই। দেওয়াল লিখন নিয়ে ভাঙড়ে যেন কোনও অশান্তি না হয়।
যদিও, আইএসএফের পাল্টা দাবি, একুশের বিধানসভা ভোটের পর তাদের দেওয়াল তৃণমূলই দখল করে নেয়। দেওয়াল নিয়ে কিছু যায় আসে না, মানুষের মনে আছি। তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ আইএসএফের।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নে চরম অশান্তি, ১৪৪ ধারা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন