হিন্দোল দে, বাসন্তী : বাসন্তীতে (Basanti) বিজেপির (BJP) মণ্ডল সহ সভাপতিকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় এফআইআরে নাম থাকা ২জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গতকাল রাতেই মিঠুন বিশ্বাস, বিধান রায়কে বাসন্তী থেকে গ্রেফতার (Arrest) করে ঝড়খালি কোস্টাল থানার পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, ঘটনায় জড়িত দিলীপ মণ্ডল, বিধান বাইন। কিন্তু, তাঁদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, এঁদের দুজনের নাম এফআইআরে নেই। এফআইআরে নাম থাকা বাকি অভিযুক্তদের তল্লশি চলছে।
রাজনৈতিক অশান্তি অব্যাহত-
বাসন্তী আছে বাসন্তীতেই ! উৎসবের মরশুমেও রাজনৈতিক অশান্তি অব্যাহত দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকায় ! বিজেপির মণ্ডল সহ সভাপতিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মারের চোটে বিজেপি নেতার পাকস্থলী ফেটে গেছে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। পরে সেখান থেকে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় FIR নিতে টালবাহানার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধেয় ঝড়খালি বাজারে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন বিজেপির চার নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি অমল মণ্ডল। দোকানে ছিলেন কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মীও। দু-পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এই সময়ে বিজেপি নেতার মোটর বাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তৃণমূলের লোকজন। বিজেপি নেতা তাদের বাধা দিলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযোগ, গোটা ঘটনায় নেতৃত্ব দেন তৃণমূল পরিচালিত ঝড়খালি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডল এবং বিধান বাইন নামে আরেক তৃণমূল নেতা।
আক্রান্ত বিজেপি নেতার স্ত্রী সর্বাণী মণ্ডল বলেন, বিধানসভা ভোটের পর থেকে ওদের অত্যাচারে ঘরছাড়া ছিলাম। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা ভাল হওয়ায় ফিরে আসি।
এই ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে আক্রান্তের পরিবার। আক্রান্ত বিজেপি নেতার ভাই সুব্রত গায়েন জানিয়েছিলেন, পুলিশ বুধবার ১২টা পর্যন্ত এফআইআর নেয়নি। বৃহস্পতিবার নিয়েছে। বলেছে ওই দু-জনের নামে এফআইআর করা যাবে না।
যদিও পুলিশ সূত্রে এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে। তাদের যুক্তি, অভিযোগ নিতে দেরি হলে FIR কপিতে ২৬ তারিখ লেখা থাকত না।
আরও পড়ুন ; বিজেপি করার 'অপরাধে' বাজারের মধ্যে দাঁড় করিয়ে মারধর, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে