জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগণা: মোবাইল ফোন (Mobile Phone) থেকে মৃত্যু (Death)। এমনই মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Paragans) রামকৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু মোবাইল ফোন থেকে এমন কী ঘটল? দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলপি থানার রামকৃষ্ণপুর এলাকায় মুঠো ফোন ফেটে গিয়ে (Mobile phone burst) মৃত্যু হয়েছে ১ গৃহবধূর। মৃত ওই গৃহবধূর নাম শম্পা বৈরাগী। বয়স বছর ২৫।


ঘটনাটি ঠিক কীভাবে ঘটে? স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সোমবার দুপুরে বাড়িতে মোবাইল চার্জ দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ শম্পা বৈরাগী। তখনই আটমকা বিকট একটা বিস্ফোরণের মতো শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। ফেটে যায় মোবাইল ফোনটি। গুরুতর জখম হন শম্পা দেবী। প্রাণ বাঁচাতে ওই অবস্থায় ত্রাহি ত্রাহি চিৎকার করতে থাকেন তিনি। আওয়াজ পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুল্পি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হতে থাকায় সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু শেষ রক্ষা করা যায়নি। আজ সেখানেই মৃত্যু হয় গৃহবধূ শম্পা বৈরাগীর। 


এখন মোবাইল ফোন মানুষের হাতে হাতে। গ্যাস বুকিং থেকে পড়াশোনা, সবই চলে অনলাইনে। ছোট থেকে বড় সকলের হাতেই এখন মোবাইল ফোন দেখতে পাওয়া যায়। স্মার্ট ফোন না হলে, নিদেনপক্ষে বোতাম দেওয়া পুরনো ফোনও মানুষের কাছে থাকেই। যোগাযোগের তো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায় এই ফোন। ফলে এমন ঘটনার পর থেকে রীতিমতো আতঙ্কিত রামকৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দারা। তবে ঠিক কী কারণে ওই মোবাইল ফোন ফাটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে মোবাইল ফোন ফেটে যাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে গৃহবধূর। কী কারণে এমন অঘটন ঘটল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে কুলপি থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন: Sundarbans News: কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের মুখে, গুরুতর আহত মৎস্যজীবী, কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত