সুকান্ত দাস, সুন্দরবন: ফের বাঘের হানা সুন্দরবনে (Sundarbans News) । গুরুতর জখম হলেন মৎস্যজীবী (Fisherman)। জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের মুখে (Tiger Attack) পড়েন তিনি। নৌকোয় ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে আক্রমণ করে বাঘটি। বাঘের হানায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ব্যক্তি। প্রতমে স্থানীয় হাসপাতালেই চিকিসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতা। সেখানে চিকিসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। 


সোমবার সুন্দরবনের বেনিফেলির জঙ্গলে বাঘের মুখে পড়েন ওই ব্যক্তি। তাঁর নাম শঙ্কর সর্দার। আদতে কুলতলির (Kultali) দেউলবাড়ির বাসিন্দা। তিন সঙ্গীকে নিয়ে বেনিফেলির জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের নৌকোয় ঝাঁপিয়ে পড়ে হামলাকারী বাঘটি। তার একেবারে মুখে পড়ে যান শঙ্কর। সঙ্গীদের চিৎকারে বাঘটি যদিও জঙ্গলে ফিরে যায়। কিন্তু শঙ্কর আহত হন। প্রথমে জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করলে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। 


এর আগে, গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষে বাঘের আতঙ্ক গ্রাস করেছিল কুলতলিকে। সে বার সুন্দরবন থেকে কুলতলির লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল বাঘ। ড্রোনের মাধ্যমে সন্ধান চালিয়ে, জলকামান ছুড়েও সে বার কাবু করা যায়নি বাঘটিকে। বরং শেখপাড়া লাগোয়া জঙ্গলে বার বার লুকিয়ে পড়ছিল সে। এ ভাবে বার বার ব্যর্থ হয়ে ছ'দিনের মাথায় বাঘটিকে ধরতে সক্ষম হন বন দফতরের কর্মীরা। প্রথমে ড্রোনের সাহায্যে তার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। তার পর বন দফতরের কর্মীরাই জঙ্গলে ঢুকতে বাধ্য হন। সেখানে গাছের উপর উঠে বসেছিল বাঘটি। ঘুমপাড়ানি গুলিতে তাকে কাবু করা হয়। 


আরও পড়ুন: Alipurduar News: প্রাপ্য মর্যাদা মেলেনি বলে অভিযোগ, আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে প্রাক্তন কাউন্সিলর


তার আগে, মাতলা নদী বাঁধ লাগোয়া গায়েনের চক এলাকায় পায়ের ছাপ মেলে। গায়েনের চক থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ৫ নম্বর গয়ানকাঠি এলাকায় কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন এক মহিলা। সেখানে ৫০ থেকে ৬০ মিটার দূরে বাঘ দেখতে পান তিনি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ এবং বন দফতরের আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে র‌য়্যাল বেঙ্গল টাইগারেরই পায়ের ছাপও চিহ্নিত করেন তাঁরা।


জঙ্গল পেরিয়ে বার বার লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনা রুখতে এর পর প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ শুরু হয়। জঙ্গলে বসানো হচ্ছে ট্র্যাপ ক্যামেরা. বাঘসুমারির পাশাপাশি তাদের গতিবিধির উপরও নজর রাখা হচ্ছে।